দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর এই পরিস্থিতিতে বুধবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর এটাই ছিল মোদীর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক। দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে বৈঠক হয়। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কিছু অংশে জারি হয়েছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে ছিল দেশবাসী। বৈঠকে দেশে টিকার অপরচয় হচ্ছে এই নিয়ে মুখ খোলেন মোদী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে কড়া পদক্ষেপ না নিলে আরও বাড়বে সংক্রমণ সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে সজাগ হতে সতেচন করেন।
গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহারাষ্ট্রের একাধিক শহরে নতুন করে লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুসৌরি শহরের একাধিক অংশে নতুন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে।দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারগুলিকে শক্ত হাতেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বলে সাফ বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। মোদী বলেন কিছু জায়গায় একশো নয় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলির অবস্থা শোচনীয়। এই অবস্থায় কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজ। আর তা না হলেও বাড়বে সংক্রমণ, পরিস্থিতি চলে যাবে আয়ত্বের বাইরে।
ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে জানুয়ারিতে। তারপরও বাড়ছে সংক্রমণ। এরমধ্যে ভ্যাকসিনের অপচয় নিয়ে এদিন বার্তা দিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকাকরণের গতি বাড়াতে হবে। তেলেঙ্গানা-অন্ধ্র প্রদেশ-উত্তরপ্রদেশে ভ্যাকসিনের অপচয়ের পরিমাণ দশ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি মোটেই হওয়া উচিত নয়। আমরা দেশে প্রতিদিন ৩০ লক্ষ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি, এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের অপচয় বন্ধ করতে হবে। এদিকে এদিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভারেকর অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ ভ্যাকসিনের ব্যবহারই করা হয়নি। কেন্দ্র ৫৪ লক্ষ ডোজ পাঠালেও মহারাষ্ট্র সরকার কেবল ২৩ লক্ষ ডোজ ব্যবহার করেছে।
বৈঠকে ছিলেন না মমতা
দেশের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। তৃণমূল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বুধবার তাঁর পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী সভা থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁর লালগড় এবং গোপীবল্লভপুরে দুটি পূর্ব নির্ধারিত সভা রয়েছে। সেই সভা থেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেন বাংলাকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার।