রেকর্ড গড়ে গোটা দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু'লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে। রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি ভয়াবহ। বৃহস্পতিবারই জৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭,২৮২। এই সংখ্যক আক্রান্ত একদিনে এর আগে দেখা যায়নি দিল্লিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। এই আবহে দিল্লিতে উইকএন্ড কার্ফু ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে শুরু হবে এই কার্ফু। চলবে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
উইকএন্ড কারফিউ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি মিলবে। যাদের বিয়ের তারিখ নির্দিষ্ট রয়েছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে। তবে মল, বাজার, স্পা, জিম বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁয়া গিয়ে খাবার খাওয়া যাবে না। তবে হোমডেলিভারি খোলা রাখা হচ্ছে। সপ্তাহন্তে এলাকা হিসেবে কেবল একটি বাজারে খোলা রাখা হবে। কেজরিওয়াল বলেন, সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করুন, তবে সপ্তাহ শেষে ছুটিতে বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন।
চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে আশ্বস্ত করলেন কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে দিল্লিতে হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীজের জন্য শয্যার কোনও অভাব নেই। কিছু হাসপাতাল বেড রয়েছে, কিন্তু অনেকেই সেই হাসপাতালেই যেতে চাইছে, তাই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমাদের অগ্রাধিকার হ'ল যে ব্যক্তি অসুস্থ হচ্ছে, প্রথমে তাদের জীবন বাঁচানো উচিত। দিল্লিতে এখনও পাঁচ হাজারেরও বেশি শয্যা খালি রয়েছে, সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
দিল্লি জুড়ে আতঙ্ক
নিত্যদিন রাজধানীর বুকে রেকর্ড গড়ছে করোনা। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এবার যুব প্রজন্মকেও ছাড়ছে না। পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে গত ১০-১৫ দিনের সংক্রমিতদের ৬৫ শতাংশের বয়স ৪৫-এর নীচে। সেই কারণে যুব প্রজন্মকে বাড়ির বাইরে যেতে না করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দিল্লি জুড়ে হাহাকার পড়েছে। হাসপাতালে বেড নেই, অমিল অক্সিজেন সিলিন্ডার, শ্মশানের বাইরে সৎকারের বিশাল লাইন। এই বিপর্যয়ের মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দিল্লিতে ইতিমধ্যে নাইট কার্ফু জারি রয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনে কড়া নজরদারি রয়েছে। তারপরও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
দিল্লিতে করোনার পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১৭,২৮২
মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের
মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৭, ৪৩৮ জন
করোনা কাটিয়ে মুক্ত হয়েছেন ৭,০৫১৬২ জন
করোনার জেরে মোট অ্যাক্টিভ কেস ৫০,৭৩৬
করোনা প্রাণ কেড়েছে মোট ১১,৫৪০ জনের