scorecardresearch
 

নৃশংস অপরাধ! ১২ বছর বয়সি কিশোর হত্যায় ফাঁসির সাজা দিল্লি আদালতের

আদালতের ১৩২ পৃষ্টার রায়ে বলা হয়, "অভিযুক্ত পরবর্তীতে একটি বার্তা পাঠায় মহাজনের কাছে তা হল মুক্তিপণ না দেওয়া হলে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে আঙুল কেটে দেওয়া হবে শিশুটির। এমনকী ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।

Advertisement
প্রতীকি ছবি প্রতীকি ছবি
হাইলাইটস
  • ৩০ সেপ্টেম্বর জীবক নাগপালকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়
  • ৭ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তিনি

ঘটনাটি ২০০৯ সালের মার্চ মাসের। ১২ বছর বয়সি একটি ছেলেকে অপহরণ করে নৃশংস ও নারকীয়ভাবে খুন করার অপরাধে হত্যাকারীকে ফাঁসির সাজা দিল দিল্লি আদালত। 

রায় দানের সময় আদালতের তরফে সাফ জানান হয়, "বাচ্চারা এবং তাঁদের সারল্য ভগবানের দান। যখন তাঁদের সেই সরলতা, আস্থা, বিশ্বাসকে জঘন্যতমভাবে ভেঙে দেওয়া হয় এর ফলে সমাজের যে ভীত তাঁকেই চিরকালের জন্য ক্ষয় করে দেওয়া হয়।" অপহরণের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রমান লোপাট ও  হুমকির অভিযোগে আরও সাত বছর কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেল প্যানেল শুনবে।

অপরাধের সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর

ওই ব্যক্তির নাম জীবক নাগপাল। ওই অপরাধের সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর। অতিরিক্ত দায়রা জজ শিবাজি আনন্দ এই অপরাধকে কেবল অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেই ক্ষান্ত হননি। এই ঘটনাকে "পাশবিক, নারকীয় এবং মারাত্মকই শুধু নয়, চরম ঘৃণ্য ও ঘৃণ্যতম অপরাধ" বলে অভিহিত করেছেন এবং তাই কঠোরতম শাস্তির দাবি রেখেছেন তিনি।

জমির কারবারি রাজেশ মহাজনের ছেলে মানান মহাজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর জীবক নাগপালকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই সময় মানান ভারতী স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন। মহাজনদের প্রতিবেশী ছিলেন জীবক। অপহরণের সময় তাই শিশু মানানের মনে কোনও ধরনের সন্দেহও হয়নি। সেই সুযোগই নেন জীবক। ৭ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তিনি। এমনকী টাকা না দিলে মানানকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।

১৩২ পৃষ্টার রায়ে

আদালতের ১৩২ পৃষ্টার রায়ে বলা হয়, "অভিযুক্ত পরবর্তীতে একটি বার্তা পাঠায় মহাজনের কাছে তা হল মুক্তিপণ না দেওয়া হলে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে আঙুল কেটে দেওয়া হবে শিশুটির। এমনকী ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।" পুলিশ জানান কিশোর মানান প্রতিবেশি জীবকের এই রূপ বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে। এরপরই তাঁকে খুন করে নর্দমায় পুঁতে দেয় জীবক। অপরাধ ঢাকতে মানানকে খোঁজার অছিলায় মহাজনদের পরিবারকে সাহায্যর আশ্বাস দেয় জীবক নাগপাল। এদিন আদালতের রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে সন্তানহারা মহাজন পরিবার। ছেলে হারানোর শোক বুকে চেপে মানানের মা আরাধনা দেবী বলেন, "অবশেষে ন্যায়বিচার পেলাম।"

Advertisement

Advertisement