scorecardresearch
 

দিল্লিতে আরো এক সপ্তাহ বাড়তে পারে লকডাউন! করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহতার দিকে

লকডাউনের পরও, দিল্লিতে সংক্রমণের হার ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দিকেই হাঁটতে চলেছে দিল্লি বলেই সূত্রের খবর। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, লকডাউন সংক্রমণের হার কমাতে সাহায্য করবে। যদিও, প্রথম ধাপের লকডাউনের ষষ্ঠ দিনেও সেই প্রকোপ কমার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি দিল্লিতে। 

Advertisement
দিল্লির রাস্তায় কোভিড আক্রান্ত এক রোগী দিল্লির রাস্তায় কোভিড আক্রান্ত এক রোগী
হাইলাইটস
  • গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ১০৩
  • ২৬ এপ্রিল সকাল ৫টা পর্যন্ত প্রথম ধাপের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে
  • বর্তমানে ৯৩ হাজার ৮০ জনের চিকিৎসা চলছে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে

করোনা ভয়াবহতার মাথায় রেখে দিল্লিতে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়াতে পারে কেজরিওয়াল সরকার। সূত্রে খবর, রবিবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দিল্লিতে পজ়িটিভিটির হার ৩২ শতাংশের বেশি হওয়ার কারণেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

বর্তমানে দেশে করোনার অন্যতম হটস্পট দিল্লি। দৈনিক ২০ থেকে ২৫ হাজার করে নতুন সংক্রমের খবর মিলছে দেশের রাজধানী থেকে। সেই সঙ্গে ভয়াবহতা আরও বেড়েছে অক্সিজেনের আকাল ও হাসপাতালে বেড না মেলায়। পরিস্থিতি ক্রমাগত হাতের বাইরে চলে যাওয়ায়, গত ১৯ এপ্রিল রাত ১০টা থেকে লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে দিল্লি সরকারকে। ২৬ এপ্রিল সকাল ৫টা পর্যন্ত প্রথম ধাপের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। 

তবে লকডাউনের পরও, দিল্লিতে সংক্রমণের হার ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দিকেই হাঁটতে চলেছে দিল্লি বলেই সূত্রের খবর। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, লকডাউন সংক্রমণের হার কমাতে সাহায্য করবে। যদিও, প্রথম ধাপের লকডাউনের ষষ্ঠ দিনেও সেই প্রকোপ কমার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি দিল্লিতে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ১০৩। মৃত্যু হয়েছে ৩৫৭ জনের। এটা এখনও পর্যন্ত সব থেকে বড় সংখ্যা। অন্যদিকে, সংক্রমণের হার ৩২ শতাংশের ওপর। বর্তমানে ৯৩ হাজার ৮০ জনের চিকিৎসা চলছে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে। 

এদিকে, শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অক্সিজেন সমস্যা মেটাতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সিলিন্ডার ও অক্সিজেন সংক্রান্ত যে কোনও সরঞ্জামের ওপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে শুল্ক। এর ফলে অনেকটাই সস্তা হয়ে যাবে সিলিন্ডার প্রতি অক্সিজেনের দাম।    

 

Advertisement
Advertisement