scorecardresearch
 

১৬ জন বাংলাভাষীরও পাকিস্তানে ট্রেনিং হয়েছিল? দিল্লিতে ধৃতদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল জানতে পেরেছে, এই বছরেরই এপ্রিল মাসে ওমান হয়ে পাকিস্তানের করাচিতে যায় ওসামা ও জিশান। প্রথমে তারা ওমান হয়ে জিওনি গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের করাচির আশেপাশে পাঠান হয়। এই কাজে যুক্ত ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-ও। জলপথে তারা ওমান থেকে পাকিস্তানে পৌঁছায়। 

Advertisement
পাকিস্তানে ট্রেনিং নেয় ওসামা ও জিশান পাকিস্তানে ট্রেনিং নেয় ওসামা ও জিশান
হাইলাইটস
  • ওমান হয়ে পাকিস্তানে যায় ওসামা-জিশান
  • দলে ছিল ১৫-১৬ জন বাংলাভাষী
  • ট্রেনিং দেয় পাক সেনার ২ আধিকারিক

দিল্লিতে বড়সড় সন্ত্রাসাবাদী মডিউলের পর্দাফাঁসের পর উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে ধৃত ৬ জনের মধ্যে ওসামা ও জিশান ওমান হয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল। ওমানে তাদের সঙ্গে ১৫-১৬ জন বাংলা ভাষীও ছিল। তারা সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিল পাকিস্তানে তাঁদের সন্ত্রাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ কোনও সন্ত্রাসবাদী নয়, বরং পাকসেনার ২ আধিকারিক করেছিল। তাঁদের সঙ্গে আরও এক পাকিস্তানি নাগরিক সেখানে উপস্থিত ছিল। 

জিজ্ঞাসাবাদের সময় দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল জানতে পেরেছে, এই বছরেরই এপ্রিল মাসে ওমান হয়ে পাকিস্তানের করাচিতে যায় ওসামা ও জিশান। প্রথমে তারা ওমান হয়ে জিওনি গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের করাচির আশেপাশে পাঠান হয়। এই কাজে যুক্ত ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-ও। জলপথে তারা ওমান থেকে পাকিস্তানে পৌঁছায়। 

ভারতীয় এজেন্সিগুলিকে এড়ানোর জন্য আইএসআই ওই ২ জনকে ওমান হয়ে পাকিস্তানে পৌছানোর কথা বলে। করাচির একটি জায়গায় জব্বার ও হামজা নামে পাকিস্তান সেনার ২ আধিকারিক তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। সেখানে ওই ২ আধিকারিকের সঙ্গে আসিফ নামে আরও এক পাক নাগরিক উপস্থিত ছিল। 

ওমান হয়ে জলপথে পাকিস্তানে

জানা যাচ্ছে. গত ২২ এপ্রিল, লখনউ থেকে ওমানের ম্যাস্কটের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠে ওসামা। ম্য়াস্কটে তার দেখা হয় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা জিশানের সঙ্গে। জিশন পাকিস্তানে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে ১৫-১৬ জন বাংলা ভাষী মানুষও ছিল। তারা সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছিল। তাদের আলাদা আলাদ দলে ভাগ করে দেওয়া হয়। ওসামা ও জিশানকে একই দলে রাখা হয়। বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সমুদ্র যাত্রা ও একাধিকবার নৌক বদলের পর তাদের পাকিস্তানের কাছে জিওনি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের এক পাকিস্তানি স্বাগত জানায় এবং একটি ফার্ম হাউসে নিয়ে যায়। 

Advertisement

সেখানে ৩ জন পাকিস্তানি নাগিরক ছিল। তাদের মধ্যে জব্বার ও হামজা তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। এই ২ জন পাকসেনার আধিকারিক, কারণ তারা সেনার পোশাক পরেছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে তাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস দিয়ে বোমা ও আইইডি তৈরি এবং নাশকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ছোট বন্দুক ও একে ৪৭ চালান এবং নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় তাদের। প্রায় ১৫ দিন চলে ট্রেনিং। তারপর সেই একইভাবে তাদের ওমানের ম্যাস্কটে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। 

ট্রেনিং-এ তাদের শেখান হয়, কী ভাবে স্লিপার সেল হয়ে ভারতে থাকতে হবে। কী ভাবে টার্গেটের ওপরে নজর রাখতে হবে, কী ভাবে বিস্ফোরক প্ল্যান্ট করতে হবে ও রেইকি করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের দেখান হয় জেহাদি ভিডিও। 

দু'ভাগে বিভক্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, এই সময় আন্ডার ওয়ার্ল্ডও ২টি ভাবে বিভক্ত। একটি দল চালাচ্ছে অনিস ইব্রাহিম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। অপরটি চালাচ্ছে ছোটা শাকিল ও তার শার্প শ্যুটাররা। এজেন্সি সূত্র মারফত খবর, এই অপারেশনে শুধুমাত্র অনিস ইব্রাহিমের দল যুক্ত ছিল। এতে ছোট শাকিলের কোনও ভূমিকা ছিল না। জানা যাচ্ছে যে সন্দেহভাজনদের ধরা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যা থেকে আরও কিছু তথ্য উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, হাওয়ালার মাধ্যম টাকা পেয়েছিল তারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে সমীর কালা মহারাষ্ট্রের এক বাসিন্দা। সে দীর্ঘদিন আন্ডার ওয়ার্ল্ডের হয়ে কাজ করছে। এর আগে একবার গ্রেফতারও হয়েছে। তার কাছেই পাকিস্তান থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নির্দেশ আসে। তারপরেই তৈরি হয় ৬ জনকে।  

 

Advertisement