দিল্লি-এনসিআরে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। আবহাওয়াও সম্পূর্ণ পরিষ্কার। তবে তা হলেও ফের বন্যার আশঙ্কা যাচ্ছে না। হাথনি কুন্ড ব্যারাজ থেকে অবিরাম জল ছাড়ার কারণে এনসিআরে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ২১ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় যমুনা নদীর জলস্তর ফের বিপদসীমা অতিক্রম করে। আজ সকাল ৯টা থেকে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা। যমুনা থেকে বাসিন্দাদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
হাথনি কুন্ড ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে
হাথনি কুন্ড ব্যারেজ থেকে সকাল ৯টায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কিউসেক, সকাল ১০টায় ২ লাখ ৯ হাজার কিউসেক এবং সকাল ১১টায় ২ লাখ ২৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সারাদিনে যদি প্রতি ঘণ্টায় একই পরিমাণ জল ব্যারেজ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এর প্রভাব দেখা যাবে। দিল্লিতে যমুনা বিপদ চিহ্ন (২০৫.৩৩ মিটার) অতিক্রম করতে পারে। রাজধানীতে আবারও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
গাজিয়াবাদের হিন্দন নদীর নীচু এলাকায় বন্যার জল ঢুকেছে
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গাজিয়াবাদ হয়ে নয়ডা যাওয়ার হিন্দন নদীটিও বিপর্যস্ত। হিন্দন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত। গাজিয়াবাদের নীচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবস্থা এমন যে, অনেক নীচু এলাকায় হিন্দন নদীর জল দ্রুত কলোনিতে প্রবেশ করছে। হিন্দন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
এনডিআরএফ দল পাঠানোর আবেদন
গাজিয়াবাদের হিন্দন নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে সিটি ফরেস্ট কলোনি, কৃষ্ণ গৌশালা কলোনি, কারেদ কলোনিতে জল দ্রুত বাড়ছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ এবং সেচ দফতরের দল পাঠানোর জন্য সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।