আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। দিগ্বিজয় সিংও লড়তে চলেছেন নির্বাচনে। খুব শীঘ্রই মনোনয়ন পেশ করবেন তিনি। বর্তমানে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় রয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে আগামিকাল তিনি মনোনয়ন পেশ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই নির্বাচনে শশী থারুর ও অশোক গেহলটের নাম সামনে এসেছে। তবে বর্তমানে রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্দরে যে ডামাডোল শুরু হয়েছে, তার জেরে অশোক গেহলটের নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে আগামী ৩০ তারিখ মনোনয়ন পেশ করবেন শশী থারুর। প্রসঙ্গত, সমস্ত প্রার্থীদেরই ৩০ তারিখ মনোনয়ন পেশ করতে হবে। কারণ রিটার্নিং অফিসার মধুসূদন মিস্ত্রী আগামিকাল দিল্লিতে থাকবেন না। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছে আরও বেশকিছু নাম। তাঁরা হলেন মুকুল ওয়াসনিক, মল্লিকার্জুন খারগে, কেসি বেনুগোপাল।
কতোটা সম্ভাবনা দিগ্বিজয় সিংয়ের?
দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের রয়েছে একটি লম্বা সময়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। ২ বার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদও সামলেছেন দিগ্বিজয় সিং। এছাড়া গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতাদের মধ্যে দিগ্বিজয় হলেন একজন। তবে ২০১৯ সালে ভোপাল থেকে নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এমনকি তাঁর বক্তব্যের জন্য কোনও কোনও সময় দলকেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগও তুলছেন প্রতিপক্ষের নেতানেত্রীরা।
কতোটা মজবুত শশী থারুর?
অন্যদিকে কেরলের তিরুবন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত শশী থারুরের নাম। মোট তিনবার লোকসভা নির্বাচন জিতেছেন তিনি। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও যথেষ্ট জনপ্রিয় শশী থারুর। মন্ত্রী হিসেবে কাজ করার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবে দলে খুব বেশি পুরনো নন থারুর। ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তাছাড়া হিন্দিতেও তাঁর দখল কম। সেক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি নির্বাচনে তাঁর বিপরীতে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন - মার্গী হচ্ছে বৃহস্পতি, পকেট গরম হতে পারে ৪ রাশির