scorecardresearch
 

ভবানীপুর উপনির্বাচন স্থগিতের দাবির পর দিল্লি রওনা দিলীপ-সুকান্তদের, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কী আলোচনা?

দিল্লি গেলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের (Subhash Sarkar) মতো নেতারাও। নতুন পদে আসার পর এই প্রথম দিল্লি যাত্রা দিলীপ ও সুকান্তর। রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় নেৃতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।  

Advertisement
সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ (বামদিক থেকে) সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ (বামদিক থেকে)
হাইলাইটস
  • দিল্লি গেলেন দিলীপ-সুকান্ত
  • কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার খবর
  • বৈঠকের বিষয়বস্তু খোলসা করলেন না কেউই

বিকেলেই ভবানীপুর উপনির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন, আর তরাপর রাতেই দিল্লি গেলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের (Subhash Sarkar) মতো নেতারাও। নতুন পদে আসার পর এই প্রথম দিল্লি যাত্রা দিলীপ ও সুকান্তর। রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় নেৃতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কী বিষয়ে আলোচনা রয়েছে সেই নিয়ে অবশ্য খোলসা করে কেউই কিছু বলেননি।

আজ ভবানীপুর উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে প্রচারে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পালটা দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে বন্দুক বের করে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhawanipur By Election) স্থগিত করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। দিলীপ বলেন, "ভবানীপুরে বহু লোক এসে ঘিরে নেয়। আমার সঙ্গে চার-পাঁচজন ছিলেন, তাঁদের মারধর করা হয়। মহিলারাও ছিলেন। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক বের করেন ভয় দেখানোর জন্য। আমাদের সাংসদ অর্জুন সিংকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল যখন পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করছিলেন তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে আমাদের মাননীয় রাজ্য সভাপতিকে প্রচারে আটকানো হয়।" 

দিলীপের আরও আরও অভিযোগ, "স্থানীয় পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি। এখানে আইন শৃঙ্খলা নেই। কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদি ভোটারের কাছে পৌঁছতেই না পারি, তাহলে নির্বাচনের মানে কী? গায়ের জোরে ভোটে জেতার চেষ্টা হচ্ছে। সব দেখে বলছি অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন স্থগিত হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। সাধারণ মানুষ যখন মনে করবেন, আমরা যখন ঠিকভাবে প্রচার করতে পারব তখন নির্বাচন হবে।" এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই দিল্লি গেলেন সুকান্ত-দিলীপরা। এখন দেখার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা থেকে কী উঠে আসে।  

Advertisement

 

Advertisement