ভারতে সাইবার হানা চালিয়েছে পাকিস্তান। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ভারতে দেশের পাওয়ার ও টেলিকমের মতো ক্রিটিকাল পরিকাঠামোয় সাইবার হানা চালিয়েছে পাকিস্তান। তারা Trojan (RAT)- এর মতো প্রোগ্রাম ইনস্টল করেছে হ্যাক করা কম্পিউটারে। যাতে সহজেই সব তথ্য অ্যাক্সেস করা যায়।
তথ্যে আরও সামনে এসেছে, হামলাকারীরা ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির URL ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টি প্রথম ধরতে পাকে আমেরিকান টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা। তারা পরীক্ষা করে জানায়, পাকিস্তান থেকে এই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোভিডের টিকাদান সম্পর্কিত নকল পিডিএফও নাকি ব্যবহার করেছিল হ্যাকাররা। হ্যাকারদের যে আইপি ঠিকানা পাওয়া গিয়েছে, তা পাকিস্তানের মোবাইল ডেটা অপারেটর সিএমপাক লিমিটেডের। এটি পাকিস্তানের 4 G হিসাবে পরিচিত। যেটি চিনের সাহায্যে চলে।
ইন্ডিয়া টুডে-কে ব্ল্যাক লোটাস (আমেরিকার গবেষণা সংস্থা) ল্যাবসের প্রধান, মিশেল বেনিয়ামিন জানান, "বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, পাকিস্তান থেকেই এই সাইবার হামলা চালানো হয়। ভারতের একাধিক সরকারি সংস্থাকে টার্গেট করেছিল তারা।'
চাইনিজ সাইবার হামলার থেকে আলাদা
এবার যে সাইবার হামলা হয়েছে তা চিন করেনি। বিভিন্ন গবেষণা থেকে এই তথ্য সামনে এসেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সাইবার হামলার প্রকৃতি, ধর ইত্যাদি চিনা হামলার মতো নয়। হামলার প্রকৃতি থেকে এটা পরিষ্কার যে, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা অনেকদিন আগে থেকেই ভারতকে লক্ষ্য করেছিল ও সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
আফগানিস্তানে সাইবার আক্রমণ
শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তান ভিত্তিক হ্যাকার নেটওয়ার্ক সাইবার হানা চালিয়েছে আফগানিস্তানেও। তবে তার প্রভাব ভারতের তুলনায় অনেক কম। আক্রমণকারীরা ব্র্যান্ড-নতুন ম্যালওয়্যার ব্যবহার করেছিল যা জনসাধারণের কাছে আগে জানা ছিল না। পাশাপাশি তারা একটা সুপরিচিত ম্যালওয়ারও ব্যবহার করেছিল।
জানা গিয়েছে, কমপক্ষে একটি বিদ্যুৎ সংস্থা, একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও একটি সরকারি আইটি সংস্থায় হানা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, এর আগে চিনের সাইবার হানার ফলে গত বছর মুম্বাইতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছিল। ও ট্রেন চলাচলে সামান্য প্রভাব পড়েছিল।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে সাইবার সুরক্ষা মতবাদের বিকাশে ভারত কেবলমাত্র সামান্য অগ্রগতি করেছে। প্রতিবেদনে যে দেশগুলি তাদের সাইবার ক্ষমতার ভিত্তিতে তিন স্তরে বিভক্ত করেছিল, ভারতকে তৃতীয় স্তরের সাইবার শক্তির মধ্যে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।