মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। ২২ জানুয়ারি, সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। তার আগে অযোধ্যায় সাজ সাজ রব। রামলালার মূর্তির ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। রামচন্দ্রকে নিয়ে আবেগে ভাসছেন তাঁর ভক্তরা। এই আবহে রামের মাহাত্ম্য নিয়ে 'সাহিত্য আজতক লখনও ২০২৪' এর মঞ্চে কথা বললেন স্বনামধন্য লেখক আচার্য প্রশান্ত।
শনিবার থেকে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহরে শুরু হয়েছে 'সাহিত্য আজতক লখনও ২০২৪'-এর দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার পর্যন্ত চলবে ২ দিনের এই কর্মসূচি। লখনওয়ের গোমতী নগরে আম্বেদকর মেমোরিয়্যাল পার্কে হচ্ছে এই অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন আচার্য প্রশান্ত। আইআইটি দিল্লি এবং আইএমএম আহমেদাবাদ থেকে পড়াশোনা করেছেন আচার্য প্রশান্ত। রাম সম্পর্কে নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
রাম কী?
এই প্রশ্নের উত্তরে আচার্য বলেছেন, এ জন্য মৃত্তিকা উপনিষদ সম্পর্কে আরও জানতে হবে। যেখানে রামকে হনুমানজি বলেছেন যে, তিনি রামের সেবায় সারাজীবন নিয়োজিত থেকেছেন। হনুমানজি বলেছেন, আপনার দেহ দেখেছি, শরীর দেখেছি, আপনার লীলা দেখেছি। আপনার কোন রূপটি সবেচয়ে মহৎ, সত্য, বাস্তব, মুক্তি। তখন রাম বলেন, হে হনুমান, তুমি যদি আমার সত্যিটা জানতে চাও, তা হলে শোনো, আমি বেদান্তে বাস করি। যাঁরা আমায় সত্যিকারের জানতে চান, তাঁরা বেদান্তে আসবেন। আমার চারটি স্তর বা প্রকার রয়েছে। আমি বেদান্তে বাস করি, এটা আমার সত্য এবং বড় রূপ। যাঁরা সত্যিই আমায় খুঁজে পেতে চান, তাঁদের বেদান্তে আসা উচিত।
চার রাম কী?
পৃথিবীতে চার রাম রয়েছে। আচার্য বলেছেন, তিনটি রামের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে নীচের তিনটি রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি। সাধুরা বলেছেন যে, চতুর্থ রামের সারমর্ম হল, তাঁকে নিয়ে চিন্তা করা।
দশরথের ঘরের শিশু রাম হলেন প্রথম রাম। দ্বিতীয় রাম হলেন, যিনি প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কথা বলেন। তৃতীয় রাম হলেন এর সমগ্র বিস্তার। কিন্তু প্রকৃত রাম এই সব কিছুর থেকে আলাদা। বেদান্তে বসবাসকারী এই চতুর্থ রামের কাছে পৌঁছনোর কথা হনুমানজিকে বলেছেন রাম।
আচার্য আরও বলেছেন যে, রাম সর্বত্র বিরাজমান। রাম সবসময় আপনার মধ্যে রয়েছেন। আত্মজ্ঞানের মধ্যে দিয়ে জীবনের পথে হাঁটতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল নিজের মনকে মন্দির বানানো। মন মন্দির হলেই জীবন অর্থবহ হবে।