মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর (8 December) ভারত বনধ (Bharat Bandh)-এর ডাক দিল কৃষক সংগঠনগুলি (Farmer Organisations)। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন (Farm Law) বাতিলের দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ফের আলোচনায় বসছে কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমর বিজ্ঞান ভবনে তাদের সঙ্গে আরও এক দফায় আলোচনায় বসবেন। আন্দোলনকারীদের সরাতে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষকদের বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু তা নিষ্ফলা। কোনও সমাধানসূত্র উঠে আসেনি। তাই দিল্লিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা।
সিঙ্গু সীমান্তে শুক্রবার ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক (বিকেইউ-লোখোওয়াল) এইচ এস লোখোওয়াল সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান ৫ ডিসেম্বর, শনিবার সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্পোরেট সংস্থার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে। তিনি আরও জানান, কৃষকেরা যেসব পদক এবং পুরস্কার পেয়েছেন, তা কৃষি আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে ৭ ডিসেম্বর ফেরত দিয়ে দেবেন। ভারত বনধের আগের দিন তারা সেগুলি ফেরত দিয়ে দেবেন।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে জমায়েত সরানোর ব্যাপারে একটি আর্জি দায়ের করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই জমায়েত সরানো হোক। না হলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।
নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল পদ্ম-সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন। একই কাজ করলেন যশবিন্দর সিং। তিনি ভারতীয় সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। তবে কৃষকদের সমর্থন জানাতে তা ফিরিয়ে দিলেন। তিনি বলেছেন, একজন লেখক যদি মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারে, তাহলে আর কী কাজ? তার আমি তো পুরস্কার পাওয়ার জন্য লেখা শুরু করিনি। কেন্দ্র সরকার অমানবিক আচরণ করছে কৃষকদের সঙ্গে। এটা দেখে খুবই খারাপ লাগছে তাদের ন্যূনতম মানবাধিকারও রক্ষিত হচ্ছে না।
হরিয়ানার করনালে এক বিয়ের পাত্র ঠিক করেছেন বিয়েতে যাবেন ট্রাক্টরে চেপে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এখন হয়তো আমরা শহরে থাকি। কিন্তু আসলে আমাদের মূল হল কৃষি। কৃষকদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আমরা কৃষকদের পাশে আছি।
আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থন জানাতে মুসলিম ব্রাদারহুড মালেরকোটলা (পাঞ্জাবঃ একটা লঙ্গর খুলেছে সেখানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকদের প্রতি সংহতি জানাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত কর্মসূচি নিচ্ছে বিভিন্ন গণ সংগঠন।
কৃষক আন্দোলনের ব্যাপারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্য নিয়ে চর্চা রয়েছে। বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এমন কাজ যদি চলতে থাকে তাহলে দুই দেশের সম্পর্কে গভীর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়বে।
কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছ তৃণমূল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সেখানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।