NOTIFICATIONS
26th Apr
পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় আগুন 
পুনে (Pune)-র সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)-য় আগুন লাগল। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেখানকার ১ নম্বর টার্মিনাল গেটে আগুন লেগেছে। কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
সংস্থার কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা জানান, আমরা আটকে থাক কর্মীদের উদ্ধারের ব্যাপারে জোর দিচ্ছি। আর কোনও ব্যাপার এখন চিন্তা নেই। আগে আমাদের কর্মীদের উদ্দার করি। তারপর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।
সেখানে পৌঁছেছে দমকলের গাড়ি। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে করোনার টিকা কোভিশিল্ড। এই ঘটনায় চিন্তা তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার নতুন প্লান্টে আগুন লেগেছে। সেটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ওখানে তৈরি করা হতে চলেছে কোভিশিল্ড টিকা। এর ফলে টিকা তৈরির কাজ ধাক্কা খাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়েছে এক এক করে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। এই প্ল্যান্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানেই তৈরি হওয়ার কথা করোনা ভাইরাসের টিকা। এবং যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্য খুব দরকারি। পুনের এই প্লান্ট উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ২০২০ সালে এটির উদ্বোধন করা হয়। তবে এখনঔ পর্যন্ত সেখানে টিকা তৈরির কাজ শুরু হয়নি। তাঁর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
দমকল আগুন নেভানোর কাজ করছে। তবে ওইখানে কতজন মানুষ আটকে রয়েছেন, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এলাকা ভরে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। পাঁচতলার ওই প্লান্টে করোনা ভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড আর কয়েক দিনের মধ্যেই উৎপাদন করা শুরু হত বলে জানা গিয়েছে।
পুনের প্লান্টেই তৈরি হচ্ছি টিকা
ঘটনা হল, পুনেতে তৈরি হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার টিকা। এই প্ল্যান্ট থেকে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে ওই পুরনো প্লান্ট। আর সেখানেই উৎপাদনের কাজ চলছে। ওই প্ল্যান্টটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। নয়া প্লান্টে প্রচুর টিকা উৎপাদনের। পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে অগ্নিকাণ্ড সেই পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাল। কবে কাজ শুরু করা যাবে, সে ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে দেখা হচ্ছে।
নতুন প্ল্যান্টের লাগানো হচ্ছিল যন্ত্রপাতি
জানা গিয়েছে, দিন কয়েকের মধ্যেই সেখানে তৈরি হত টিকা। আর সে কারণে সেখানে লাগানো হচ্ছিল বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি। সেই কাজ শুরু হয়েছিল। সংস্থার কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা এইখানে নিজের কর্পোরেট অফিসের বানিয়ে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
