scorecardresearch
 

Ram Mandir Prana Pratishtha: মহোত্‍সবের অপেক্ষা, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় এলাহি ব্যাপার, কী কী হবে?

২২ জানুয়ারি অযোধ্যয় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হবে। বহু ভক্ত ওই দিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের বিষয়ে অযোধ্যার মুখ্য সচিব বিশেষ নির্দেশ জারি করেছেন। এতে নিরাপত্তাসহ নানা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement
Ram Mandir Prana Pratishtha Ram Mandir Prana Pratishtha
হাইলাইটস
  • ২২ জানুয়ারি অযোধ্যয় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হবে
  • বহু ভক্ত ওই দিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন

২২ জানুয়ারি অযোধ্যয় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হবে। বহু ভক্ত ওই দিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের বিষয়ে অযোধ্যার মুখ্য সচিব বিশেষ নির্দেশ জারি করেছেন। এতে নিরাপত্তাসহ নানা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ২০ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে আমন্ত্রণ পাওয়া লোকদের অযোধ্যায় আসার ব্যবস্থা করা হবে মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বুধবার মুখ্য সচিব দুর্গা শঙ্কর মিশ্রের জারি করা নির্দেশে কী বলা হয়েছে।

  • ২২ জানুয়ারি পুরো রাজ্যে মদের দোকান বন্ধ রাখা উচিত।
  • ১৬ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য রাজ্যের প্রতিটি দেব মন্দিরে রাম সংকীর্তন ইত্যাদির আয়োজন করা উচিত।
  • ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিটি বাড়িতে, ঘাটে বা মন্দিরে দীপোৎসবের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত।
  • ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অযোধ্যার সর্যু ঘাটে দীপোৎসবের আয়োজন করা উচিত এবং তার পরে পরিবেশ বান্ধব আতশবাজির ব্যবস্থা করা উচিত।
  • সকল সরকারি ভবন, স্কুল/কলেজও সাজাতে হবে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার জন্য অযোধ্যায় ৫০টি অতিরিক্ত স্ক্রিন/ডিজিটাল বোর্ডের ব্যবস্থা করা উচিত।
  • সমগ্র রাজ্যের সব মন্দিরে স্ক্রিন বসিয়ে অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত।
  • ১৪ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে নগর উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতি রাজ বিভাগের মাধ্যমে সমস্ত শহর ও গ্রামে একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো উচিত।
  • ১৪ জানুয়ারি মাননীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমস্ত জেলা সদরে একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা উচিত।
  • ১৪ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের সমস্ত অফিসে একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
  • এর সঙ্গে প্লাস্টিক ও ময়লা পরিষ্কার করে চত্বরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করতে হবে।
  • ২২ জানুয়ারি মানুষকে অনুপ্রাণিত করা উচিত এবং প্রতিটি বাড়ি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে আলো জ্বালানো উচিত।
  • ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত অফিসে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা করা উচিত।

এছাড়াও অযোধ্যায় নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। যেখানে বলা হয়েছে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারির পাশাপাশি এআই ভিত্তিক ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি করা হবে।

Advertisement
  • পুরো শহর ITMS (ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সিসিটিভি/পুলিশ লাগানো সিসিটিভি এবং পাবলিক সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি করা উচিত।
  • পাবলিক সিসিটিভির ১৫০০ ক্যামেরা আইটিএমএসের সঙ্গে সংযুক্ত করা উচিত।
  • অযোধ্যার ইয়েলো জোনের ১০,৭১৫টি জায়গা ফেস রিকগনিশন সহ AI ভিত্তিক ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
  • এটি আইটিএমএসের সঙ্গে একত্রিত হবে এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
  • NDRF/SDRF টিম মোতায়েন করা হবে। SDRF টিম নৌকায় নিয়মিত টহল দেবে।
  • নাবিকদের লাইফ জ্যাকেট এবং আইডি কার্ড দিতে হবে। যে কোনও ধরনের নেশা নিষিদ্ধ থাকবে।
  • ২০ জানুয়ারী পর্যন্ত ৪টি ক্রুজ বোটের ব্যবস্থা করা হবে।
  • ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অযোধ্যা রেল স্টেশনে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
  • ফায়ার ব্রিগেডের ব্যবস্থা করা হবে।
  • পুরো শহরে পুলিশ বাহিনীর টহল থাকবে। বহিরাগতদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে।
  • অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন, এসএসএফ নিশ্চিত করা হবে।
  • শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদেরই ২০ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে অযোধ্যায় আসার অনুমতি দেওয়া হবে, যাদের ২২ জানুয়ারির জন্য শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ জন্য সড়ক ও ট্রেন উভয় ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি প্রাথমিক হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হবে এবং সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
  • ১৪ জানুয়ারি থেকে অযোধ্যায় সিটি বাস পরিষেবা চালু করার নির্দেশনা দিয়েছেন মুখ্য সচিব। অনুষ্ঠানস্থলে ১০ হাজার অতিথিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০০টি ই-বাস, গলফ কার্ট এবং গোলাপী অটোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০০টি গাড়িও বসানো হবে। পরিবহন দফতরের ১০৩৩টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

TAGS:
Advertisement