scorecardresearch
 

গ্র্যাচুয়িটির টাকা না দিলে খরা আনার হুঁশিয়ারি সঘোষিত বিষ্ণু অবতারের

জলসম্পদ বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে রমেশচন্দ্র ফেফার জানান, তাঁর গ্র্যাচুয়িটির ১৬ লক্ষ টাকা এবং এক বছরের বেতন ১৬ লক্ষ টাকা আটকে রেখে তাঁকে সমস্যার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। এরপরেই ওই ব্যক্তির হুঁশিয়ারি, তাঁকে সমস্যায় ফেললে তিনি পৃথিবীতে ভয়াবহ খরা নিয়ে আসবেন, কারণ তিনি বিষ্ণুর অবতার। 

Advertisement
রমেশচন্দ্র ফেফার রমেশচন্দ্র ফেফার
হাইলাইটস
  • ফের আলোচনায় রমেশচন্দ্র ফেফার
  • দ্রুত গ্রাচুয়িটির টাকা দাবি
  • অন্যথায় ভয়ঙ্কর খরা আনার হুঁশিয়ারি

একবার নিজেকে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর কল্কি অবতার বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এবার ফের একবার আলোচনায় গুজরাটের সেই রমেশচন্দ্র ফেফার। গ্র্যাচুয়িটির টাকা তাড়াতাড়ি না পেলে দিব্য শক্তি দিয়ে গোটা বিশ্বে ভয়ঙ্কর খরা সৃষ্টির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, গুজরাটের জলসম্পদ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন রমেশচন্দ্র ফেফার। ২০১৮ সালে নিজেকে বিষ্ণুর অবতার বলে দাবি করে রমেশচন্দ্রবাবু জানান তিনি অফিস যেতে পারবেন না। আট মাসে মাত্র ১৬ দিন অফিস যাওয়ার জেরে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই নিজেকে বিষ্ণুর অবতার বলে দাবি করেন তিনি। যার জেরে তাঁকে চাকরি থেকে অকাল অবসর দিয়ে দেওয়া হয়। 

এবার জলসম্পদ বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে রমেশচন্দ্র ফেফার জানান, তাঁর গ্র্যাচুয়িটির ১৬ লক্ষ টাকা এবং এক বছরের বেতন ১৬ লক্ষ টাকা আটকে রেখে তাঁকে সমস্যার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। এরপরেই ওই ব্যক্তির হুঁশিয়ারি, তাঁকে সমস্যায় ফেললে তিনি পৃথিবীতে ভয়াবহ খরা নিয়ে আসবেন, কারণ তিনি বিষ্ণুর অবতার। 

চিঠিতে ফেফারের আরও দাবি, 'কল্কি অবতার হয়ে তিনি পৃথিবীতে আছেন বলেই, গত ২ বছর ভারতে ভাল বর্ষা হয়েছে। তিনি লেখেন, দেশে একবছরও খরা আসেনি। ভাল বৃষ্টির কারণে ভারতের ২০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। তারপরেও সরকারে  বসে থাকা রাক্ষসেরা আমায় বিরক্ত করছে। সেই কারণে এই বছর আমি গোটা বিশ্বে ভয়াবহ খরা আনব।'

অন্যদিকে জলসম্পদ বিভাগের সচিব এম কে জাধব বলেন, 'অফিসে না এসে ফেফার বেতন দাবি করছেন। ফেফার বলেছেন তাঁকে শুধু এই জন্যই বেতন দেওয়া হোক কারণ তিনি কল্কি অবতার এবং পৃথিবীতে বৃষ্টি আনার কাজ করছেন।'

 

Advertisement
Advertisement