প্রকাশ্যে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ভিডিও। সেই ভিডিও এসেছে আজতকের হাতেও। জরিপের সময় তৈরি করা ওই ভিডিওতে, অজুখানার জল কমানোর পর শিবলিঙ্গের আকৃতির মতো কিছু একটি দেখা গিয়েছে। সেই আকৃতি দেখার পর ভিডিওটি করা হয়। সেটির মাপজোকও করা হয়েছে। হিন্দু পক্ষের তরফে সেটিকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা হয়েছে। তবে মুসলিম পক্ষ সেটিকে ঝর্ণা বলে দাবি করছে।
কমিশনের রিপোর্টে যা যা বলা হয়েছে, সেই সবই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে, শিবলিঙ্গের উপরে সিমেন্ট দেখা যাচ্ছে এবং যা টুকরো টুকরো করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, শিবলিঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। মাঝখানে ছিদ্র করারও চেষ্টা হয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, তাঁদের আরাধ্য দেবতার ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে।
কমিশনের দল ভেতরে পৌঁছে প্রথমে জল বের করে দেয়। জল কমে যাওয়ার পর শিবলিঙ্গের কিছু অংশ দেখা যায়। হিন্দু পক্ষের দাবি সেটি শিবলিঙ্গ এবং সেখানে তাদের পুজো করার অধিকার পাওয়া উচিত। অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষের বক্তব্য সেটি শিবলিঙ্গ নয়, ঝর্ণা। বর্তমানে আদালতে মামলাটির শুনানি চলছে। আরেকটি ভিডিওতে মসজিদের ভেতরে একটি ত্রিশূল দেখা যাচ্ছে। দেওয়ালে ত্রিশূলের আকৃতি দেখে কমিশনার এটির ভিডিও করেন।
শিবলিঙ্গের আকৃতির সামনেই নন্দী মহারাজ
নন্দী মহারাজের ঠিক সামনে মসজিদের এলাকায় টিনশেডের নিচে জল ভর্তি যে জায়গায় শিবলিঙ্গের আকৃতি রয়েছে সেখানেই মুসলিমরা অজু করতেন। একইসঙ্গে মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়ালের ছবিও দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে। যার উপরে এমন অনেক কারুকার্য আছে, যা দেখে দাবি করা হচ্ছে যে সেখানে মন্দির ছিল। ত্রিশূল ছাড়াও দেওয়ালে স্বস্তিকের চিহ্ন রয়েছে। এই ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য মুসলিম পক্ষের তরফে আবেদন জানানো হয়। তবে আজতকের হাতে সেই এক্সক্লুসিভ ভিডিও এসে পৌঁছেছে।
এদিকে সোমবারই বারাণসী জেলা আদালত ও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলার শুনানি হয়। মামলাটি শুনানি যোগ্য কিনা সেই বিষয়ে জেলা জজ অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশের আদালতে শুনানি হয়। পাল্টা নিজেদের যুক্তি দেয় মুসলিম পক্ষ। জেলা আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ জুলাই। অন্যদিকে, জ্ঞানবাপীকে হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে করা আবেদনের শুনানি হয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। আগামী ৮ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন - একরত্তিকে দেখেই উৎফুল্ল বাবা, স্ত্রীকে স্নেহের ছোঁয়া জিরাফের, Viral Video