অযোধ্যার রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Shri Ram Janmabhoomi Teerth Kshetra Trust) কেনা জমি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। প্রাক্তন বিধায়ক তথা পূর্বতন সমাজবাদী পার্টির সরকারের মন্ত্রী তেজ নারায়ণ পাণ্ডে ওরফে পবন পাণ্ডে সাংবাদিক বৈঠক করে জমি কেনার বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কার্যত অভিযোগ ২ কোটি টাকা মূল্যের জমির চুক্তি হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটি টাকায়। আর তাতে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ট্রাস্টি অনিল মিশ্র এবং মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায়। চলতি বছরের ১৮ মার্চ এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি প্রাক্তন মন্ত্রীর। তাঁর আরও দাবি, যে জমি ২ কোটি কাটায় কেনা হয়, মাত্র ১০ মিনিট পরেই সেই জমির চুক্তি সাড়ে ১৮ কোটি টাকায় কার হয়েছে।
এই বিষয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী পবন পান্ডের প্রশ্ন কয়েক মিনিটের মধ্যে ২ কোটি টাকার জমি সাড়ে ১৮ কোটি টাকার কীভাবে হয়ে গেল? তাঁর অভিযোগ, রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) নামে জমি কেনার বাহানায় রমভক্তদের ঠকানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে গোটা বিষয়টিই ট্রাস্টি ও মেয়র জানতেন বলে অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রীর। তাই গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি কোন কোন অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে তারই তদন্ত হওয়া দরকার। তাঁর অভিযোগ, প্রভু শ্রীরামের নামে জমি কেনা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে পবন পাণ্ডের দাবি, ১২০৮০ বর্গমিটার জমি, অর্থাৎ ১.২০৮ হেক্টর জমি বাবা হরিদাস সুলতান আনসারি ও রবি মোহন তিওয়ারিকে বিক্রি করেন, আর সেটিই ট্রাস্ট কেনে। ১০ মিনিটে জমির দাম বেড়ে যায় ১৬ কোটি টাকা।
অভিযোগ খারিজ
এদিকে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের মহাসচিব তথা বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা চম্পত রায় সরাসরি এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাস্তু অনুযায়ী মন্দিরের পূর্ব পশ্চিমে যাতায়াত সুবিধাজনক করতে এবং নিরাপত্তার জন্য কিছু ছোটবড় গৃহস্থ বাড়ি কেনার প্রয়োজন রয়েছে। যাঁদের বাড়ি নেওয়া হবে তাদের পুনর্বাসনের জন্য জমি দেওয়া হবে। সেই কারণেই জমি কেনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে এখনও পর্যন্ত যে যে জমি কেনা হয়েছে তার দাম খোলাবাজারের চেয়ে অনেকটাই কম। মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
আসরে আপ
অন্যদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে আম আদমি পার্টি। তাদের দাবি, ২ কোটি টাকায় কেনা জমিকে কয়েক মিনিয়ের মধ্যে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট ১৮.৫ কোটি টাকায় চুক্তি করেছে। আপ নেতা সঞ্জয় সিং বলেন, ২ কোটি টাকায় জমি কেনা এবং ১৮.৫ কোটি টাকায় চুক্তি, দুটি ঘটনাতেই সাক্ষী রয়েছেন ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র। এই ঘটনায় সিবিআই এবং ইডির তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।