পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) ইস্যুতে উত্তাল গোটা দেশ। The Wire এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে সমস্ত ফোনে আঁড়িপাতা হয়েছিল তার মধ্যে সম্ভবত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নম্বরও ছিল। এছাড়া তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনকেও সম্ভবত টার্গেট করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেস-তৃণমূলের মতো বিরোধীরা সরাসরি বিজেপি তথা কেন্দ্রের সমালোচনায় আসরে নেমে পড়েছে। পালটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপিও।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এবারের পেগাসাসকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার আগেও ইজরায়েলের (Israel) স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে নজর রাখা হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছিল। সেই সময়ে এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধও করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর দুয়েক আগে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে ঘোষণা করা হয়, অজ্ঞাতনামা সংস্থাগুলি ইজরায়েলের একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের কথোপকথনের ওপরে নজর রাখছে। সেই সময় সংস্থার আরও জানান হয়, প্রায় ১,৪০০ ব্যক্তির ফোন হ্যাক করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও (NSO) গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও করা হচ্ছে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এই বিষয়ে তদন্তে করার জন্য কেন্দ্রকে আবেদন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর ফোন ট্যাপ করার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকী গত বিধানসভা ভোটের সময়ও একবার বিজেপি (BJP) তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলে তৃণমূল। নির্বাচনের মাঝেই কোচবিহারে দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কথপোকথনের অডিও টেপ প্রকাশ্যে আনে বিজেপি। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে আঁড়িপাতার অভিযোগ তুলে সরব হয় ঘাসফুল শিবির। আর এবার পেগাসাসকাণ্ডে সম্ভাব্য টার্গেট লিস্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আসায় আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে আসরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল।