২০২১-এর বিধানসভা ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর ভোটে জয়ের পরেই ২০২৪-এ বিজেপিকে (BJP) আটকাতে এখন থেকেই কেন্দ্রীয়স্তরে বিরোধী দলগুলিকে একসঙ্গে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রীতিমতো ফ্রন্ট গড়ে লড়াইয়ের কথা বলেছেন তিনি। এমনকী বিরোধী নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করে ফেলেছেন মমতা।
টার্গেট ত্রিপুরা
তবে বিরোধী নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের রাজনীতিতেও অংশ নিতে শুরু করেছে তৃণমূল। আর তার সূচনা হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা (Tripura) থেকে। আগামী ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে বিপ্লব দেবের সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই লক্ষ্যে সেরাজ্যে চলছে লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি। একাধিকবার সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতানেত্রীরা। প্রায় সবক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে। তবুও মাটি ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যে অন্যান্য দল থেকেও বেশকয়েকজন যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এমনকী ত্রিপুরার পুর নির্বাচনেও অংশ নিয়েছে তৃণমূল।
নজরে মেঘালয়
শুধু ত্রিপুরাই নয়, উত্তরপূর্বের আরও এক রাজ্য মেঘালয়ের দিকেও নজর রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সহ ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই যোগদানের ফলে বর্তমানে মেঘালয়ে (Meghalaya) বিরোধী দলের ভূমিকায় উঠে এসেছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে কিছুদিন আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দিয়েছেন অসমের (Assam) সুস্মিতা দেব। ফলে সেই দিক থেকে দেখতে গেলে উত্তরপূর্বের একাধিক রাজ্যেই ঘাসফুল ফোটানোর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল।
গোয়ায় গুরুত্ব
এদিকে দেশের উত্তরপূর্বের পাশাপাশি সাগর পাড়ের রাজ্য গোয়াতেও কর্মসূচি বেড়েছে তৃণমূলের। গত সেপ্টেম্বরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফালেরিও। আর ইতিমধ্যে একাধিকবার গোয়া (Goa) সফর সেরে ফেলেছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রীও। সেখানে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি গাঁটছড়াও বেঁধেছে তৃণমূলর সঙ্গে। এক্ষেত্রে এই সমস্ত পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তাঁর দলকে একেবারে জাতীয়স্তরে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।