বজ্রপাতে মৃত্যু হল অনেকের। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহর বজ্রাঘাতে বেশকিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র ফিরোজাবাদেরই ৩টি গ্রামে বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন ৩ জন। রেহাই পায়নি গবাধি প্রাণীরাও। শিকোহাবাদের নগলা উমর গ্রামে রামসেবক ও হেমরাজ নামে ২ কৃষকেরও মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। জানা গিয়েছে, মাঠে কাজ করার সময় আচমকাই বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে একটি নীমগাছের নিচে আশ্রয় নেন তাঁরা। সেইসময়ই গাছে বজ্রপাত হয়। তাতেই মৃত্যু হয় ওই দুজনের। নগল চাট নামে অপর একটি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় অমর সিং নামে আরও এক কৃষকের।
অপর একটি গ্রামে মাঠে গবাধি প্রাণী চড়াচ্ছিলন এক কৃষক। সেই সময় শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি। তাতে বাজ পড়ে ৪২টি ছাগল ও ১টি গরুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন শিকোহাবাদের সিও। তিনি বলেন, বজ্রাপাতে একটি গ্রামে ২ জনের, অপর এখটি গ্রামে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবকটি দেহই ময়নানতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে সহায্যের চেষ্টা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রয়াগরাজে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। জানা গিয়েছে ঘটনায়, সৌরভ এলাকায় ছয়জন, করছনা এলাকায় দুজন এবং বড়া এলাকায় তিনজন মারা গিয়েছেন। এছাড়াও কৌশাম্বীতে ৪ জন এবং কানপুর দেহাতে বজ্রাঘাতের কারণে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজস্থানেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। শুধুমাত্র আমোরেই ১২ জনেক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডিশনাল কমিশনার রাহুল প্রকাশ। পাশাপাশি জয়পুরেও বাজ পড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া রাজস্থানে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৭টি শিশুর। জানা যাচ্ছে, কোটা জেলার কনওয়াস গ্রামে ৪টি এবং ধৌলপুরের ৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট মৃতদের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানানর পাশাপাশি ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতারও ঘোষণা করেছেন। এই আর্থিক সহযোগিতা যাতে দ্রুত পৌঁছে দেওয় যায়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াও। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশেও বাজ পড়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।