scorecardresearch
 

CAA ছাড়াই অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব, জারি গেজেট নোটিফিকেশন

সিএএ (CAA) অনুযায়ী আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম এখনও তৈরি হয়নি। যার জেরে আগের নিয়ম অনুযায়ীই এই নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।

Advertisement
অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদানে সরকারের পদক্ষেপ (প্রতীকী ছবি) অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদানে সরকারের পদক্ষেপ (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
  • সিএএ ছাড়াই নাগরিকত্বের সুযোগ
  • সুযোগ ৫ রাজ্যের ১৩ জেলার অ-মুসলিম শরণার্থীদের
  • গেজেট নোটিফিকেশন জারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের কাছে আবেদন পত্র চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২৮ মে একটি গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে। এই গেজেট অনুযায়ী গুজরাত, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও ছত্তীসগঢ়ের মোট ১৩টি জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের মতো অ-মুসলিমদের থেকে নাগরকত্বের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

সিএএ ছাড়াই মিলবে নাগরিকত্ব
সিএএ (CAA) অনুযায়ী আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম এখনও তৈরি হয়নি। যার জেরে আগের নিয়ম অনুযায়ীই এই নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৯৫৫  ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী জারি করা হয়েছে এই নোটিফিকেশন। 

সিএএ নিয়ে ব্যাপক বিরোধ
প্রসঙ্গত সিএএ নিয়ে ব্যাপক বিরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে। মুসলিম সংগঠন এবং বিরোধী দলগুলির তরফে এটিকে বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এই আইনের বিরোধিতায় দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। তারমধ্যে দিল্লির শাহিনবাগে দীর্ঘদিন ধরে চলে আন্দোলন। 

কারা আবেদন করতে পারবেন?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে সেই অনুযায়ী, গুজরাতের মোরবি, রাজকোট, পাটন এবং ভদোদরা, ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ এবং বলোদাবাজার, রাজস্থানের জালোর, উদয়পুর, পালি, বারমের এবং সিরোহি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ ও পঞ্জাবের জলন্ধরে বসবাসকারী শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের আইনের ১৬ নম্বর ধারায় দেওয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুদের থেকে নাগিরকত্বের জন্য আবেদন চাওয়া হচ্ছে। এই আবেদন অনলাইনে করতে হবে। আর প্রয়োজন মতো জেলার কালেক্টর এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রসচিব সেগুলি খতিয়ে দেখবেন। 

Advertisement


 

Advertisement