মৃত্যু হল ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাসের (Naba Kishore Das)। রবিবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গুলি করেন (Odisha Health Minister Shot) এক পুলিশ কর্মী। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ঝাড়সুগুড়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী নব দাস। অভিযোগ, রাস্তায় মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গুলি করে এক এএসআই। ঝাড়সুগুড়ার ব্রজরাজনগরের কাছে ঘটেছে ঘটনাটি। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী গোপাল দাস গান্ধীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ
মন্ত্রীর মৃত্যুতে বিবৃতি জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বুকের বাম দিকে গুলি লাগে। ডাক্তার দেবাশিস নায়কের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে শুরু হয় মন্ত্রীর চিকিৎসা। অস্ত্রোপচারে জানা যায় একটি গুলি বুকের বাম দিকে ঢুকে অপর দিক দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হার্ট ও বামদিকের ফুসফুস। যার জেরে প্রচুর রক্তপাত হয়।
মন্ত্রীর হার্টের পাম্পিং ব্যবস্থায় ঠিক করার জন্য জরুরি চিকিৎসা করা হয়। তাঁকে আইসিইউ-তেও পাঠান হয়। তবে চিকিৎসকের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তদন্ত করছে সিআইডি
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি (CID) ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ। সাইবার বিশেষজ্ঞ, ব্যালেস্টিক বিশেষজ্ঞ এবং ক্রাইম ব্র্যাঞ্চকে মিলিয়ে মোট ৭ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিএসপি রমেশ ডোরা ওপিএস। অবিলম্বে তদন্ত শুরু করতে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে ঝাড়সুগুড়ায় পৌঁছেছেন তিনি। ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞ-সহ দলের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত পৌঁছবেন বলে মনে করা হচ্ছে। রমেশ ডোরার পাশাপাশি, সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চের এডিজিপি অরুণ বোথরাও ব্যক্তিগতভাবে তদন্তের তদারকি ও পর্যবেক্ষণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এই ঘটনায় U/S 307 IPC R/W 27 অস্ত্র আইনের অধীনে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি বিবাদ নিয়ে এবার বিজ্ঞপ্তি বিশ্বভারতীর, কী লেখা সেখানে?