Oscar Fernandes: প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ প্রয়াত। সোমবার তাঁর জীবনাবসান হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ম্যাঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)-র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
কাউন্সিলর থেকে শুরু
বলা যেতে পারে তাঁর (Oscar Fernandes) জীবনাবাসনের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হল দীর্ঘ এক রাজনৈতিক যাত্রার। যা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫-৭৬ সালে। উডু়পির কাউন্সিলর হয়েছিলেন তিনি। আর ধাপে ধাপে এগিয়ে পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবেন।
১৯৮০ সালে উড়ুপি থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি (Oscar Fernandes) পাঁচ বার সেখানকার সাংসদ ছিলেন ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে লোকসভা ভোটে তিনি সেখান থেকে জেতেন।
প্রধানমন্ত্রীর শোক
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) টুইটে শোক জানিয়েছে। তিনি লিখেছেন, অস্কার ফার্নান্ডের প্রয়াণে শোক জানাই। তাঁর পরিবার-পরিজনের সমবেজনা জানাই।
Saddened by the demise of Rajya Sabha MP Shri Oscar Fernandes Ji. In this sad hour, my thoughts and prayers are with his family and well-wishers. May his soul rest in peace: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 13, 2021
বাবা শিক্ষক
তাঁর বাবা রোক ফার্নান্ডেজ ছিলেন শিক্ষক। মণিপাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির প্রথম সভাপতি ছিলেন। তাঁর মা লেওনিসা ফার্নান্ডেজ ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট।
রাজীবের সঙ্গে কাজ
অস্কার ফার্নান্ডেজ প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীন গান্ধীর সংসদীয় সচিব পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সেটা ১৯৮৪-৮৫ সালে। তিনি সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এমনই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তিনি ১৯৯৯ সালে লোকসভা ভোটে হেরে যান। তখন তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়। তিনি একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি রূপায়ণ, ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ, শ্রম এবং কর্মসংস্থান।
সেটা প্রথম মনমোহন সিংয়ের সরকার। ২০০৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি ওই দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি সড়ক পরিবহণ এবং জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল
চলতি বছরের জুলাই মাসে মাতায় রক্ত জমে যাওয়ায় তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। তারপর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পড়ে গিয়ে তিনি চোট পেয়েছিলেন।