পেগাসাস স্পাইওয়ার (Pegasus Spyware) ইস্যুতে এবার প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। The Wire এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে সমস্ত নম্বরে আঁড়ি পাতা হয়েছিল সেই তালিকায় সম্ভবত ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ও দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন। এছাড়া তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নম্বরকেও সম্ভবত টার্গেট করা হয়েছিল বলে রিপোর্টের দাবি। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দুটি মোবাইল নম্বরকে টার্গেট করা হয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি রাহুলের ৫ বন্ধু এবং পরিচিতদের ফোন নম্বরও তালিকায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যেসব ৫ বন্ধুর নম্বর উঠে আসছে তাঁরা কেউই রাজনীতি বা জনসচেতনতার সঙ্গে যুক্ত নন বলেই জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোনেও সম্ভবত আঁড়ি পাতা হয়েছিল বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছ। সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা হলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং প্রহ্লাদ পটেল। এছাড়াও বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের ফোনে, প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন স্মৃতি ইরানির ওএসডি সঞ্জয় কছরোর ফোনে, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার ফোনে এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার নম্বরেও সম্ভবত আঁড়ি পাতা হয়েছিল বলে খবর। প্রসঙ্গত মোট ৩০০ ভারতীয় নম্বরকে নিশানা করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রশ্ন তোলেন, "রাহুল গান্ধী, নিজেদের ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং সাংবাদিকদের ওপরে গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে। এটাই কি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই?" তাঁর আরও কটাক্ষ, "বিজেপির নাম বদলে ভারতীয় জাঁসুসি পার্টি রাখা উচিত।" যদিও কংগ্রেসের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর প্রসাদ পালটা প্রশ্ন তোলেন, "এনএসও (NSO) জানিয়েছে যে ৪৫টি দেশকে তারা পেগাসাস সফটওয়্যার দেয়। তাহলে ভারতেই কেন নিশানা করা হচ্ছে?" এরপরেই নাম না করে বিরোধীদের তাঁর কটাক্ষ, "নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সারা বিশ্বে নিজের বিশেষ পরিচয় তৈরি করতে পেরেছে। আর তাতেই কেউ কেউ বিচলিত হয়ে উঠেছেন। তাই এমন অভিযোগ আনছেন।"