scorecardresearch
 

ভারত আত্মনির্ভর হলে ফায়দা বিশ্বের, স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উদ্বোধন করে এই বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠলে ফায়দা হবে বিশ্বের। বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের মানুষকে এই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement
স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা করছেন। বৃহস্পতিবার জেএনইউতে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা করছেন। বৃহস্পতিবার জেএনইউতে
হাইলাইটস
  • ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠলে ফায়দা হবে বিশ্বের
  • দেশ আত্মনির্ভর হওয়ার পথে কাজ শুরু করে দিয়েছে
  • স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোদীর বার্তা

ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠলে ফায়দা হবে বিশ্বের। বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের মানুষকে এই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

এদিন স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক, কর্মীরা। 

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের বেশি কিছু বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'আমি আশা করব, এই মূর্তি পড়ুয়াদের মধ্যে সাহস, শক্তি, সমবেদনা জোগাবে। যা স্বামী বিবেকানন্দ সব মানুষের মধ্যে দেখতে চেয়েছিলেন। দেশকে ভালবাসা ও ভালবাসতে শেখাবে এই মূর্তি। আজীবন যার কথা স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দর ছিলেন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ। তিনি জানতেন ভারত বিশ্বকে কিছু না কিছু দিতে পারবে। দেশের সংস্কৃতি সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা নিয়ে সারা দুনিয়া ঘুরেছেন তিনি। তা ছড়িয়েছেন তিনি।'

তিনি বলেন, 'আমাদের দেশ আত্মনির্ভর হওয়ার পথে কাজ শুরু করে দিয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে সংস্কারকে খারাপ রাজনীতি বলে মনে করা হত গরিব মানুষদেরকে বিভিন্ন রকম স্লোগানের মধ্য়ে বেঁধে রাখা হত। গরিব মানুষ আজীবন গরিবই থেকে গিয়েছে, আর্থিকভাবে শোষণ করা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু সরকার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে তাদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া যায়। 

পড়ুয়াদের তিনি বারবার স্বামী বিবেকানন্দের জীবন, আদর্শ, দর্শনের কথা মনে করিয়ে দেন। তাঁর দেখানো পথে চলার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, দেশের নয়া শিক্ষানীতি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে তৈরি হয়েছে। সেখানে অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর ভাষা তো একটা মাধ্যম খালি। এটাই জাতীয় শিক্ষা নীতির মূল ধারণা। 

স্বামী বিবেকানন্দের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি মনে করিয়ে দেন, একুশ শতক ভারতের। আর এই মূর্তি যেন সে কথাই বলে যাচ্ছে 

Advertisement

পড়ুয়াদের গঠনমূলক বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে স্বামীজির মূর্তিকে ঘিরে গঠনমূলক বিভিন্ন রকমের আলোচনা-বিতর্ক করা যেতে পারে। আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা নিজেদের নীতির ওপর বেশি জোর দেন। এবং সে জন্য দেশের স্বার্থকে পাশে সরিয়ে রাখেন। 

লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবন থেকে হাস্যরস বাদ গেলে চলবে না, পরামর্শ তার। তিনি বলেন, দেখতে হবে আমদের জীবন থেকে রসবোধ বাদ না চলা যায়। 

সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ, তরুণ চুগ, বিজেপি সাংসদ রমেশ ভিদূরী।
রমেশ পোখরিয়াল জানান, প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি রয়েছে। এই মূর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হয়ে থাকবে। যে পড়ুয়ারা স্বামীজীর দেখানো পথে চলবেন, তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Advertisement