যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই বিপত্তির সম্মুখীন হাওড়া-পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পুরী থেকে হাওড়া ফেরার সময় প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে পড়ে ভেঙে যায় ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। যার জেরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুরী স্টেশন থেকে হাওড়া উদ্দেশে রওনা দেয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া ফেরার পথে ওড়িশায় বৈতরণী রোড স্টেশনে ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়ে ট্রেনটি। সেই সময়ই ঝড়বৃষ্টিতে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে ট্রেনের পেন্টোগ্রাফের ওপরে। যার জেরে ভেঙে যায় প্যান্টোগ্রাফ। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বন্দে ভারত। এই প্রসঙ্গে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী সংবাদমাধ্য়মকে জানান, ভদ্রকের কাছে পুরী-হাওড়া বন্দে ভারতের ইঞ্জিনের ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। সেই কারণেই ভেঙে গিয়েছে প্যান্টোগ্রাফ। চিড় ধরেছে ইঞ্জিনের কাচেও।
প্রসঙ্গত গত ১৮ তারিখ হাওড়া-পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন,"বন্দে ভারত উন্নত ভারত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারতীয়দের প্রতীক। যখন বন্দে ভারত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে, তখন এটি ভারতের গতি এবং উন্নয়নকে প্রতিফলিত করে"। তিনি আরও বলেন, "বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া এবং পুরীর মধ্যে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক সংযোগকে আরও মজবুত করবে৷ আজ দেশে ১৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে, এগুলি যোগাযোগের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি, উভয়কেই বাড়িয়ে তুলছে"।
১৬ কোচের এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে পুরীর মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করছে। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনটির সময় লাগছে প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা মতো। ট্রেনটি বৃহস্পতিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন চলছে। ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়ে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। পুরী পৌঁছায় দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। আবার পুরী থেকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে সন্ধে ৮টা ৩০ মিনিটে হাওড়ায় ঢোকে।
আরও পড়ুন - রাজ্যে আসছেন কেজরিওয়াল, ২৩-এ মমতার সঙ্গে বৈঠক