RG Kar Case Supreme Court: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ কড়া মন্তব্য করে সর্বোচ্চ আদালত। CJI-এর অধীনে এই শুনানিতে আদালত জানতে চায়, এমন একটি ঘটনায় FIR দায়ের করতে এত সময় লাগল কেন? এর পাশাপাশি হাসপাতালে ভাঙচুর নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। প্রাক্তন অধ্যক্ষের কার্যপ্রণালী নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।
জেনে নেওয়া যাক এই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের ১০টি বড় মন্তব্য:
১. 'প্রতিবার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই দেশের বিবেক জাগ্রত হয়।'
২. 'এটি শুধুমাত্র একটি ভয়ঙ্কর ঘটনাই নয়, দেশজুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার অভাবও উঠে এসেছে।'
৩. CJI বলেন, 'আমরা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।'
৪. আদালত বলেছে, 'মহিলারা যদি কাজে যেতে না পারেন এবং নিরাপদে থাকতে না পারেন, তাহলে আমরা তাঁদের মৌলিক সাম্য থেকে বঞ্চিত করছি।'
৫. নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ নিয়ে আদালত বলেছে, 'এটা খুবই উদ্বেগজনক।'
৬. প্রধান বিচারপতি বলেছেন, 'অধ্যক্ষ এটি আত্মহত্যা বলার চেষ্টা করেছিলেন, বাবা-মাকে দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি!'
৭. পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও হাসপাতাল প্রশাসনকে তিরস্কার করেন সিজেআই। তিনি বলেন, 'এত দেরিতে কেন এফআইআর দায়ের করা হল? কী করছিল হাসপাতাল প্রশাসন?'
৮. হাসপাতালে ভাঙচুরের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত বলে, 'পুলিশকে ঘটনাস্থল রক্ষা করতে হবে। এতকিছুর পরও কীভাবে সেখানে ৭ হাজার মানুষ ঢুকে পড়ল?'
৯. আদালত বলে, 'সে শুধু একজন খুনিই নয়, একজন বিকৃত মানুষও।' আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গে আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ভর্ৎসনা করে বলে, 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বন্ধ করা যাবে না।'
১০. আরজি কর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি জানতে চান, 'অধ্যক্ষ কী করছিলেন? তাঁকে এত দেরিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন ডাকা হল? তিনি এমন নিষ্ক্রিয়তা দেখালেন কেন?'
আরও পড়ুন: বাইকে লিফট দেওয়ার নাম করে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অধরা অভিযুক্ত
CJI বলেন, 'আমরা একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করতে চাই। তাতে সমস্ত চিকিত্সকরা থাকবেন।' চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সারাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ওঁদের হাতে আছে। আপনারা কাজে ফিরে যান। এখন আমরা আপনাদের নিরাপত্তার যত্ন নেব।'
সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ
সিবিআইয়ের কাছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাকে এই তথ্য জানাতে হবে। আদালত বলেছে, তারা এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তদন্ত কতদূর পৌঁছেছে তা জানাতে হবে। চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছে আদালত।