মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় বড় ধাক্কা খেল হিন্দু পক্ষ। গত বছর ১৪ ডিসেম্বর শাহী ইদগাহে সার্ভের জন্য কমিশনার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে নিম্ন আদালতের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সের সার্ভে নিয়ে টানাপোড়েন। হিন্দু পক্ষের দাবি, এই মসজিদের মধ্যেই বিশেষ কিছু নিদর্শন রয়েছে। তাতে এটাই প্রমাণ হয় যে, এটি এক সময়ে হিন্দু মন্দির ছিল। তাই সেখানে সার্ভে করা প্রয়োজন। গত ১৪ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট শাহী ইদগাহে সমীক্ষায় কমিশনার নিয়োগে ছাড়পত্র দেয়। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ।
এদিন সেই আর্জির শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, হাইকোর্টেই এই মামলার শুনানি চলবে। তবে সার্ভে চালনার জন্য কোর্ট কমিশনার নিয়োগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে।
সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু পক্ষকে জানিয়েছে, আপনাদের আবেদন স্পষ্ট নয়। আপনারা কী চান তা স্পষ্ট করে বলতে হবে।
আইনজীবী হরি শঙ্কর জৈন, বিষ্ণু শঙ্কর জৈন, প্রভাষ পান্ডে এবং দেবকী নন্দনের মাধ্যমে এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। তাতে শাহী ঈদগাহে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষার দাবি করা হয়েছিল।
সমীক্ষার দাবির কেন?
পিটিশনে দাবি করা হয়, মসজিদের নীচেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। আবেদনকারীদের দাবি, সেখানে এমন অনেক নিদর্শন রয়েছে, যাতে এটাই প্রমাণ হয় যে, মসজিদটি এক সময়ে একটি হিন্দু মন্দির ছিল।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, সেখানে একটি পদ্ম আকৃতির স্তম্ভ রয়েছে। এগুলি সাধারণত হিন্দু মন্দিরের বিশেষ চিহ্ন।
এছাড়াও, হিন্দু দেবতা 'শেষনাগ'-এর একটি মূর্তিও রয়েছে সেখানে, দাবি তাঁর। লোকমতে, শেষনাগই জন্মের রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে রক্ষা করেছিলেন। আদালতে আরও বলা হয়, মসজিদের স্তম্ভের নীচের অংশে হিন্দু ধর্মীয় নিদর্শন ও খোদাই রয়েছে। আবেদনকারী আদালতকে অনুরোধ করেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শাহী ইদগাহ মসজিদ পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হোক। এর জন্য আদালত যেন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিয়ে একটি কমিশন নিয়োগ করে।