নতুন আইটি নিয়ম পালন করছে না ট্যুইটার। আর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সুরক্ষা পাবে না এই সোশ্যাল সাইট। এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় ট্যুইটারকে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না। আসলে কেন্দ্রের তরফে গত ২৫ মে থেকে দেশে নতুন আইটি নিয়ম চালু হয়েছে। কিন্তু, ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ তা পালন করেনি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই আইনি রক্ষাকবচ হারাল এই সংস্থা।
এর পরিণতি কী হতে পারে?
আইনি রক্ষাকবচ হারানোর ভারী মূল্য চোকাতে হতে পারে ট্যুইটারকে। এবার থেকে যে কোনও আপত্তিজনক কন্টেন্টের জন্য ট্যুইটারকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে সরকার। এনিয়ে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, 'আইটি অ্য়াক্টের ৭৯ নম্বর ধারায় সুরক্ষা কবচ পেয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো। এই ধারার জন্যই সুরক্ষা পেয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো। কিন্তু, আর ট্যুইটার আর এই সুবিধা পাবে না। কারণ, তারা দেশের আইন মানেনি।'
ট্যুইটারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা?
জানা গিয়েছে, একমাত্র ট্যুইটারই নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের শর্তপূরণ করেনি। যে নীতি অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার-সহ ভারতের জন্য একাধিক আধিকারিক নিয়োগ করতে হতো। কিন্তু প্রথম থেকেই সেই নয়া নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মন কষাকষি করে এই সংস্থা। তার মধ্যেই টুইটারের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ।
গাজিয়াবাদে অভিযোগ দায়ের
এরই মধ্যে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। সেখানে একটি ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে।