scorecardresearch
 

উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েতে ধাক্কা BJP-র! বিধানসভা ভোটে পূর্বাঞ্চল সব 'খেলা' বদলে দিতে পারে

তবে পঞ্চায়েত ভোটে সেখানে বেশ নড়বড়ে ফল করেছে  বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি বিজেপিকে কড়া চ্যালঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে ভোটের ফলাফলে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।

Advertisement
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
হাইলাইটস
  • উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলকে বিজেপির শক্ত গড় বলে মনে করা হয়
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেখান থেকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন
  • তাই বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ওই এলাকা

উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলকে বিজেপির শক্ত গড় বলে মনে করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেখান থেকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ওই এলাকা।

তবে পঞ্চায়েত ভোটে সেখানে বেশ নড়বড়ে ফল করেছে  বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি বিজেপিকে কড়া চ্যালঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে ভোটের ফলাফলে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।

ঘটনা হল, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে জেলা পঞ্চায়েতের ভোটের সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে রয়েছে। তারা সব থেকে বড় দল হিসেবে পরিচিত পরিচিতি পেয়েছে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট হবে।

সেখানে নিজেদের সরকার ধরে রাখতে বিজেপি কী করে, সেটাই এখন দেখার। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল নিঃসন্দেহে তাদের নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করতে বাধ্য করবে। পূর্বাঞ্চলের শাসনক্ষমতা প্রত্যেক পাঁচ বছরে পাল্টে যায়। এটাও মাথায় রেখেছেন বিজেপি নেতারা। 

পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ফলাফল কী বলছে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসি আর এর সংলগ্ন আজামগড়, মির্জাপুর মণ্ডলের ১০টি জেলার ৫৫২টি আসনে সমাজবাদী পার্টি ২৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে।

অন্যদিকে সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পেয়েছে ১৪.৯৪ শতাংশ আসন। আর ১৪.৫  শতাংশ আসনে জিতে বিএসপি জায়গা করে নিয়েছে তৃতীয় স্থানে।

বিজেপি সবথেকে ক্ষতি হয়েছে বারাণসী, জৈনপুর, গাজীপুরে। হিসেবে বলেছে, গাজীপুরের ৬৪টির মধ্যে সমাজবাদী পার্টির জিতে নিয়েছে ৩৫টি কেন্দ্র। আর অন্যদিকে বিজেপির খাতায় ঢুকেছে ৭টি আসন। 

এর পাশাপাশি দেখে নেওয়া যাক বারাণসী এলাকার ফলাফল। সেখানে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ১৫টি। আর বিজেপির ঝুলিতে গেছে ৭টি আসন। অন্যদিকে, ভাদোইয়ে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ১০ এবং বিজেপি ৪টি কেন্দ্র।

Advertisement

গোরখপুরকে বলা হয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গড়। সেই গোরখপুর আর বস্তি মন্ডলে জেলা পঞ্চায়েতের সদস্যদের মোট আসন রয়েছে সাড়ে ৩০০টি আসন। সেখানে সমাজবাদী পার্টি অনেক এগিয়ে রয়েছে।

তারা পেয়েছে ৭৮টি আসন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। তাদের ঝুলিতে গেছে ৬৩টি আসন আর বিএসপি পেয়েছে ৩৩, কংগ্রেস ৮ ও নির্দল ১৫৯টি কেন্দ্রে জিতে গিয়েছে। সিদ্ধর্থনগরে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ১৬টি আসন আর বিজেপি সাতটা আসনে জিতেছে।

বিজেপির জন্য চিন্তা বাড়ানোর ফল উত্তরপ্রদেশের এই পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল। বিশিষ্ট সাংবাদিক সিদ্ধার্থ কলহংস বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটের ফলকে বলা যেতে পারে ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটের সেমিফাইনাল। কারণ আর ৮ মাসের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে।

তিনি আরও জানান, পূর্বাঞ্চল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তার দল বেশ দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে হেরে গেছে বিজেপি। এর ফলে বিজেপির রাস্তা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ল। এর কারণ হলো পূর্বাঞ্চল সমাজবাদী পার্টির শক্তিশালী করছিল। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল সেটা আরও একবার দেখি দিল এখানে সমাজবাদী পার্টি ভাল ফল করেছে।

 

Advertisement