scorecardresearch
 

মশলা, সোনার ব্যবসা! মুকেশ আম্বানির থেকেও ধনী ছিলেন এই ভারতীয় ব্যবসায়ী

বীরজি ভোরা নিজেই আস্ত ব্যাঙ্ক ছিলেন। মহাজন হিসাবে অন্য বড় ব্যবসায়ীদের ধার দিতেন। এমনকি ইংরেজরাও তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। কিছু ঐতিহাসিকের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব যখন ভারতের দাক্ষিণাত্য জয়ের যুদ্ধের সময় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন, তখন তিনি তাঁর দূতকে বীরজি ভোহরার কাছে পাঠিয়ে ধার চেয়েছিলেন।

Advertisement
আম্বানির চেয়েও ধনী আম্বানির চেয়েও ধনী
হাইলাইটস
  • ভারত থেকেই বিশ্বের সেরা ব্যবসায়ীরা উঠে আসতেন। ইন্টারনেট, ফোনকল, বিমানের সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই বিশ্বজুড়ে ব্যবসা করতেন তাঁরা।
  • তেমনই একজন ছিলেন ভিরজি ভোরা। তাঁকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিশ্বের ধনীতম ব্যবসায়ী বলে অভিহিত করেছিল।
  • বীরজি ভোরা মুঘল শাসনামলে একজন পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি এতটাই ধনী ছিলেন যে, ১৬১৭ থেকে ১৬৭০ সালের লম্বা সময়কালে মধ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবচেয়ে বড় ঋণদাতা ছিলেন।

Richest Businessman in India: ব্রিটিশরা ভারতে শুধু শুধু আসেনি। একসময়ে বিশ্বের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র ছিল ভারত। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে ব্যবসা করেছে। ভারত থেকেই বিশ্বের সেরা ব্যবসায়ীরা উঠে আসতেন। ইন্টারনেট, ফোনকল, বিমানের সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই বিশ্বজুড়ে ব্যবসা করতেন তাঁরা। তেমনই একজন ছিলেন ভিরজি ভোরা। তাঁকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিশ্বের ধনীতম ব্যবসায়ী বলে অভিহিত করেছিল। বীরজি ভোরা মুঘল শাসনামলে একজন পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি এতটাই ধনী ছিলেন যে, ১৬১৭ থেকে ১৬৭০ সালের লম্বা সময়কালে মধ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবচেয়ে বড় ঋণদাতা ছিলেন। বীরজি ভোরা একবার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ২ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এখনকার নিরিখে এটি কম লাগতে পারে। কিন্তু সেই সময়ের হিসাবে এটি নেহাত্ কম নয়। 

১৫৯০ সালে বীরজি ভোরা জন্মান। ১৬৭০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। বীরজি ভোরা মূলত একজন পাইকারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য ছিল প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। বর্তমান সময়ের মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষিতে বীরজি ভোরার মোট সম্পদ ভারতের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির চেয়েও অনেক বেশি ছিল। তাঁর ঐতিহাসিকদের মতে, বীরজি ভোরা মরিচ, সোনা, এলাচ সহ বেশ কিছু দামি পণ্যের ব্যবসা চালাতেন।

১৬২৯ থেকে ১৬৬৮ সালের সময়কালে বীরজি ভোরা ব্রিটিশদের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে ব্যবসা করেন। তাঁর ব্যবসার কায়দাও ছিল অভিনব। কোনও পণ্য বিক্রি করবেন ঠিক করলে তিনি তার পুরো স্টকই ক্রয় করে নিতেন। তারপর বিপুল লাভে, একচেটিয়া দরে বিক্রি করতেন। বীরজি ভোরা এর পাশাপাশি নিজেই আস্ত ব্যাঙ্ক ছিলেন। মহাজন হিসাবে অন্য বড় ব্যবসায়ীদের ধার দিতেন। এমনকি ইংরেজরাও তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। কিছু ঐতিহাসিকের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব যখন ভারতের দাক্ষিণাত্য জয়ের যুদ্ধের সময় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন, তখন তিনি তাঁর দূতকে বীরজি ভোহরার কাছে পাঠিয়ে ধার চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

শুধু ভারতই নয়। পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্দর শহরগুলিতেও তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। আগ্রা, বুরহানপুর, দাক্ষিণাত্যের গোলকুন্ডা, গোয়া, কালিকট, বিহার, আহমেদাবাদ, ভাদোদরা এবং বারুচ সহ সেই সময়ের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রেই বীরজি ভোরার প্রতিনিধিরা থাকতেন। এই এজেন্ট-ম্যানেজারদের মাধ্যমেই ব্যবসা পরিচালনা করতেন তিনি।

Advertisement