বছরের নতুন ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা হাতে পেলেই বাঙালিরা যে দিনগুলিতে সবার আগে চোখ যায়, তার মধ্যে দুর্গা পুজো একটি। বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ এই দুর্গা পুজো। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, এমনকী গোটা বিশ্বের বাঙালি জাকজমকপূর্ণ এই উৎসব উদযাপন করেন। লন্ডনেও বিপুল সংখ্যক বাঙালি থাকে। ফি বছর, লন্ডন শারদ উৎসব (LSU) সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য উদযাপন করে, লন্ডনের হৃদয়ে বাংলার ছোঁয়া নিয়ে আসে। সেই প্রস্তুতি শুরু হয় বহু মাস আগে থেকে।
এবছর পনেরোতম বছরে লন্ডন শারদীয়া উৎসব অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দারুণ সফল হবে, আয়োজকদের এই আশা। এই প্রথম, পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগর থেকে লন্ডন পূজা কমিটির কোনও সংগঠন আলো ব্যবহার করতে প্রস্তুত। অত্যাশ্চর্য চন্দননগর আলোকসজ্জায় বিশাল প্রবেশদ্বারটি সজ্জিত করা হবে, সজ্জাসংক্রান্ত আলোর একটি বিস্ময়কর প্রদর্শন হয়ে উঠবে।
চন্দননগর তার চোখ ধাঁধানো আলোর জন্য সুপরিচিত। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেই ঝলক মেলে। এমনকী কলকাতায় অনেক বড় বাজেটের পুজোর আলোকসজ্জা চন্দননগরের আলোতে মন্ডপে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। এবছরের এই পুজোর থিম-'দ্য সোল অফ বেঙ্গল ইজ দ্য হার্ট অফ লন্ডন।'
লন্ডনের সারা শহর জুড়ে কমপক্ষে ৪০টি পুজো হয়। সেগুলির মধ্যে বিখ্যাত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড, সুইস কটেজ, ইলিং এবং হ্যারোর পুজো। এছাড়া দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং-এও একটি বড় পুজো হয়। এছাড়া পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেনের টয়েনবি হল, ইলফোর্ডও সেজে ওঠে দুর্গাপুজো উদ্যাপনে। এবছর চন্দননগরের আলোর রোশনাই থাকবে প্রবাসের মাটিতে। কিছুটা হলেও দেশের গন্ধ খুঁজে পাবেন প্রবাসী মানুষগুলো।