scorecardresearch
 

Ganesh Chaturthi 2024 Date- Ganapati Puja: সেপ্টেম্বরের শুরুতেই গণেশ চতুর্থী, কীভাবে গণপতির পুজোয় জীবনে আসবে সমৃদ্ধি? জানুন দিনক্ষণ

Ganesh Chaturthi 2024: সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত। আগে মূলত ব্যবসায়ীরা গণেশ চতুর্থী পালন করতেন। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতেও আয়োজন করা হয় গণেশ বন্দনার। 

Advertisement
গণপতি গণপতি

সনাতন ধর্মে ভগবান গণেশের গুরুত্ব অনেক। সব দেব-দেবীর পুজো শুরু হয় গণেশের মন্ত্রোচ্চারণ করেই। শিব ও পার্বতী পুত্র গণেশকে, হিন্দুদের সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা মনে করা হয়। সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত। ভাদ্রপদ মাসের চতুর্থী তিথির শুক্লপক্ষে সাধারণত পালিত হয় এই উৎসব। 

গণেশ চতুর্থী ২০২৪ দিনক্ষণ 

* এই বছর গণেশ চতুর্থী পড়েছে ৭ সেপ্টেম্বর (বাংলায় ২১ ভাদ্র), শনিবার। 

* ৬ সেপ্টেম্বর ঘ  ১২/১৬/৪৫ মিনিট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ঘ ২/১২/৪৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে চতুর্থী তিথি। 

* অমৃতযোগ- দিবা ঘ ৯/২৯ গতে ১২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭/৫৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  

গণেশ চতুর্থী উৎসব 

প্রায় দশ দিন ধরে চলে গণেশ চতুর্থী উৎসব। এগারোতম দিনে গণেশ মূর্তির নিরঞ্জন করা হয়। পুজোর এই শেষ দিনকে বলা হয় 'অনন্ত চতুর্দশী'। 

গণেশ চতুর্থী উদযাপন 

গণেশ চতুর্থীতে প্রায় সারা দেশজুড়ে মহাসমারোহে চলে উৎযাপন। মহারাষ্ট্রের গণেশ চতুর্থী উদযাপন, পশ্চিমবাংলার দুর্গাপুজোর মতোই বড়। এছাড়াও গোয়া, কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, গুজরাট, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতেও বিশেষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। এমনকি শ্রীলঙ্কায় তামিল হিন্দুরাও এই উৎসব পালন করেন।  কন্নড়, তামিল, তেলেগু ও সংস্কৃত ভাষায় গণেশ চতুর্থী উৎসব বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি নামে পরিচিত। কোঙ্কণি ভাষায় চবথ এবং নেপালিতে এই উৎসবকে বলে চথা। এই বিশেষ উৎসবকে গণেশ মহোৎসবও বলা হয়। আগে মূলত ব্যবসায়ীরা গণেশ চতুর্থী পালন করতেন। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতেও আয়োজন করা হয় গণেশ বন্দনার। 

Advertisement

গণেশের ১০৮ নাম   

গণদক্ষ, গণপতি, গৌরীসূত, লম্বকর্ণ, লম্বোদর, মহাবল, মহা গণপতি, মহেশ্বর, মঙ্গলমূর্তি, মূষকবাহন, বালগণপতি, ভালচন্দ্র, বুদ্ধিনাথ, ধূম্রবর্ণ, একক্ষর, একদন্ত, গজকর্ণ, গজানন, গজবক্র, গজবক্ত্র, দেবাদেব, দেবান্তক নাশকারী, দেবব্রত, দেবেন্দ্রশিক, ধার্মিক, দুর্জয়, দ্বৈমাতুর, একদংষ্ট্র, ঈশানপুত্র, গদাধর, অমিত, অনন্তচিদারুপম, অবনীশ, অবিঘ্ন, ভীম, ভূপতি, ভুবনপতি, বুদ্ধিপ্রিয়, বুদ্ধিবিধাতা, চতুর্ভুজ, নিধিশ্বরম, প্রথমেশ্বর, শুভকর্ণ, শুভম, সিদ্ধিদাতা, সিদ্ধিবিনায়ক, সুরেশ্বরম, বক্রতুন্ড, অখুরথ, অলম্পতা, ক্ষিপ্র, মনোময়, মৃত্যুঞ্জয়, মুধকারম, মুক্তিদায়ী, নাদপ্রতিষ্ঠা, নমস্তেতু, নন্দন, সিদ্ধন্ত, পীতাম্বর, গণাধিক্ষণ, গুণিন, হরিদ্রা, হেরম্ব, কপিল, কবীশ, কীর্তি, কৃপাকর, কৃষ্ণপিঙ্গল, ক্ষেমঙ্করী, বরদবিনায়ক, বীরগণপতি, বিদ্যাবিধি, বিঘ্নহর, বিঘ্নহর্তা, বিঘ্নবিনাশন, বিঘ্নরাজ, বিঘ্নরাজেন্দ্র, বিঘ্নবিনাশয়, বিঘ্নেশ্বর, শ্বেত, সিদ্ধিপ্রিয়, স্কন্দপূর্বজ, সুমুখ, স্বরূপ, তরুঁ, উদ্দণ্ড, উমাপুত্র, বরগণপতি, বরপ্রদ, প্রমোদ, পুরুষ, রক্ত, রুদ্রপ্রিয়, সর্বদেবতমান, সর্বসিদ্ধান্ত, সর্বাত্মন, ওঙ্কার, শশীবর্ণম, শুভগুণকানন, যোগাধীপ, যশস্বিন, যশস্কর, যজ্ঞকায়, বিশ্বরাজ, বিকট, বিনায়ক, বিশ্বমুখ

গণেশ পুজো ও মূর্তি স্থাপনের নিয়মকানুন 

* গণেশ চতুর্থীর দিন গণপতির মূর্তি সোনা, রুপো এবং তামার জলে স্নান করাতে হয়।

* পূর্ব অথবা উত্তর -পূর্ব কোণে গণেশ মূর্তি স্থাপনের নিয়ম। ভুল করেও দক্ষিণ বা দক্ষিণ - পশ্চিমে মূর্তি স্থাপন করবেন না। 

* দরজার দিকে মুখ করে গণেশের মূর্তি স্থাপন করা শুভ।  কারণ মনে করা হয়, তিনি মঙ্গলমুখী। সংসারে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে গণপতি। 

* তবে খেয়াল রাখতে হবে, গণেশ মূর্তি যেই জায়গায় স্থাপন করবেন, সেখানটা জেন ফাঁকা না থাকে। অর্থাৎ মূর্তির পিছনে দেওয়াল থাকা বাঞ্চনীয়। 

* কিছু স্থানে গণেশ মূর্তি রাখা একেবারেই শুভ নয়। বেডরুম, গ্যারেজ, সিঁড়ির নীচে, বার্থরুম বা লন্ড্রি অঞ্চল এই জায়গাগুলোতে গণেশ মূর্তি রাখলে হিতে বিপরীত হয়। সিঁড়ির নীচে, বার্থরুমে নেতিবাচক শক্তি থাকে। সেইজন্যেই এর আশেপাশেও মূর্তি রাখলে তা অশুভ। 

* কখনই একই স্থানে দুটি গণেশ মূর্তি রাখবেন না। বাস্তু মতে, এতে দুই শক্তির নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাই বাড়িতে আলাদা আলাদা স্থানে গণেশ মূর্তি রাখাই শ্রেয়। 

* মনে করা হয়, বাম দিকে শুঁড় রয়েছে, এরকম গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখা সবচেয়ে শুভ। ডান দিকে শুঁড় রয়েছে এরকম মূর্তির থেকে বাম দিকে শুঁড় থাকা গণেশ, শীঘ্র প্রসন্ন হন। 

* পুজোর সময় ২১ টি মোদক এবং ২১ টি দূর্বা দিয়ে গণেশের যে কোনও ১০ নাম জপ করুন। তাহলে বাড়িতে সুখ -শান্তি বজায় থাকবে। 

শাস্ত্র মতে গণপতি সবচেয়ে সন্তুষ্ট হন সিঁদুর, লাল চন্দন, লাল ফুল ও দূর্বাতে। গণেশ চতুর্থীতে তো বটেই, এছাড়াও প্রতি মঙ্গলবার, এই সামগ্রীগুলি দিয়ে নিষ্ঠা করে গণেশ পুজো করলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। বাড়িতে বিরাজ করে  সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি। 

 

Advertisement