সাধারণত ফাল্গুন মাসেই হয় দোলযাত্রা (Dol Yatra) বা হোলি (Holi)। তবে শুধু বাঙালি নয়, ভারতবর্ষের বেশিরভাগ স্থানেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ২৫ মার্চ। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। কিছু জিনিস আছে, যা বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়ায় এবং শুভ যোগাযোগকে বাধা দেয়। দোল উৎসব আসার আগে বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন এই জিনিসগুলি।
ভাঙা প্রতিমা বা ঈশ্বরের ছবি
ঘরে ভাঙা প্রতিমা বা ঈশ্বরের ছবি রাখাও খুব অশুভ হিসাবে বিবেচিত। যদি আপনার বাড়ির ঠাকুরঘরে কোনও ভাঙা প্রতিমা বা মূর্তি থাকে, তবে জলাশয়ে নিরঞ্জন করুন। এ জাতীয় মূর্তি যেখানে সেখানে ফেলে দেবেন না। এগুলি পুকুর বা নদীতে নিরঞ্জন করুন বা কোনও গাছের নীচে রাখুন।
খারাপ হওয়া বৈদ্যুতিন জিনিস
খারাপ হয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক জিনিস বাড়িতে থাকলে, পরিবারে ক্ষতি হয়। ঘরে নেতিবাচক শক্তি তৈরি হয়। তাই বাড়িতে যদি এমন কোনও বৈদ্যুতিন জিনিস থাকে, যেটি খারাপ হয়ে গেছে, তাহলে আজই সেটি মেরামত করুন বা ফেলে দিন।
খারাপ ঘড়ি
প্রায়শই লোকেরা খারাপ ঘড়িটি বাড়িতে নিরাপদ রাখে। আপনি কি জানেন যে বন্ধ বা খারাপ ঘড়ি কোনও ব্যক্তির কাছে খারাপ সময় আনতে পারে। এ জাতীয় জিনিসগুলি ঘরে রাখা শুভ নয়। যদি বাড়িতে কোনও ভাঙা ঘড়ি থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে এটিকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যান। একটি থামানো ঘড়ি নেতিবাচক শক্তি তৈরি করে।
ছেঁড়া -পুরনো জুতো
হোলির আগে ঘর পরিষ্কার করার সময়, আপনার পুরানো এবং ছেঁড়া জুতো ফেলে দিতে ভুলবেন না। ছেঁড়া পুরানো জুতো ঘরে নেতিবাচকতা এবং দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে। এমনকী অর্থের অভাবও অব্যাহত থাকে।
ভাঙা আয়না
ঘরের ভাঙা আয়না বা কোনও কাচের জিনিস রাখাও অশুভ। হোলির আগে এ ধরনের কোনও জিনিস বাড়ির বাইরে বের করুন। তা না হলে মানসিক উত্তেজনা ও সমস্যা বাড়ে।
মূল দরজা
বাড়ির মূল দরজাটি সর্বদা পরিষ্কার রাখা উচিত। বলা হয়ে থাকে যে, মূল দরজার সামনে ময়লা রাখা অশুভতা নিয়ে আসে। তাই হোলির আগে বাড়ির মূল দরজাটি পুরোপুরি পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন, দরজার সামনে কখনই কোনও ছেঁড়া কাগজ যেন পরে না থাকে।
দোল ও হোলির তারিখ
এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ২৫ মার্চ (বাংলায় ১০ চৈত্র)। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালিত হয়। এবছর হোলি উৎসব পড়েছে ২৬ মার্চ।
দোল পূর্ণিমার সময়
২৪ মার্চ ঘ ৯/৪২/১১ থেকে ২৫ মার্চ ঘ ১১/৪৭/২২ মিনিট পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।
হোলিকা দহন কখন?
হোলিকা দহন উৎসব হয় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। এবছর হোলিকা দহনের সবচেয়ে শুভ তিথি, ২৪ মার্চ রাত ১১:১৩ থেকে ১১:৫৩ পর্যন্ত।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)