চাণক্য নীতিতে জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞান ও পরামর্শ মেলে। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজন স্বামীর কর্তব্য ও গুণাবলী সম্পর্কেও বর্ণনা করা হয়েছে। আসুন, একজন আদর্শ স্বামীর মধ্যে কী গুণ থাকে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
চাণক্য নীতি অনুযায়ী একজন স্বামীর গুণাবলী:
ধার্মিক ও নীতিবান: স্বামীকে ধার্মিক ও নীতিবান হতে হবে। তাঁকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং সত্যবাদী হতে হবে।
জ্ঞানী ও বিদ্বান: স্বামীদের সবসময়ে আগে জ্ঞান সঞ্চয় করা উচিত। জ্ঞানই তাঁকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে।
দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ: স্বামীকে তাঁর পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে। তাঁকে পরিবারের সকলের ভরণপোষণ ও রক্ষাকর্তার ভূমিকা পালন করতে হবে।
সাহসী ও পরাক্রমশালী: স্বামীদের সাহসী ও পরাক্রমশালী হওয়া উচিত। তাঁকে প্রয়োজনে পরিবারের সুরক্ষার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
ধৈর্যশীল ও ক্ষমাশীল: একজন স্বামীর ধৈর্যশীল ও ক্ষমাশীল হওয়া উচিত। তাকে স্ত্রীর ভুলত্রুটি ক্ষমা করতে হবে এবং ঝগড়ার সময় ধৈর্য ধরতে হবে।
প্রেমময় ও স্নেহশীল: স্বামীর প্রেমময় ও স্নেহশীল হওয়া উচিত। তাকে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান দেখাতে হবে।
উদার ও দানশীল: উদার ও দানশীল হওয়া উচিত। তাকে দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করতে হবে।
শ্রমিক ও পরিশ্রমী: একজন স্বামীর পরিশ্রমী হওয়া উচিত। তাঁকে পরিবারের জন্য পরিশ্রম করতে হবে এবং তাঁদের সুখের জন্য কাজ করতে হবে।
চাণক্য নীতি অনুযায়ী উপরিউক্ত গুণাবলী থাকলে তবেই তিনি একজন আদর্শ স্বামী হিসেবে গণ্য হবেন। তবেই তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সুখী ও সমৃদ্ধ দাম্পত্য জীবনযাপন করতে পারবেন।