ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্রের মতো, চিনা বাস্তুও মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি প্রদানের উপর জোর দেয়। ফেং শ্যুইতেও এমন অনেক কথা বলা হয়েছে, যা ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। চিনা বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, চৈনিক মুদ্রাকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। এটি একজন ব্যক্তির অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত।
ফেং শ্যুই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিন্দু নববর্ষ শুরু হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে চিনা মুদ্রা ঘরে আনা খুবই শুভ বলে বিবেচিত হবে। এই পরিস্থিতিতে, আপনি যদি নতুন বছরটিকে শুভ করে তুলতে চান এবং আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চান তবে ফেং শ্যুই মুদ্রার সাহায্য নিতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ফেং শ্যুই কয়েন রাখার উপকারিতা সম্পর্কে।
চাইনিজ কয়েন রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা
ফেং শ্যুই অনুসারে ঘরে চিনা মুদ্রা রাখার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। ঘরে চাইনিজ কয়েন রাখার সময় খেয়াল রাখবেন যে পাশে চার লিপির ছবি রয়েছে সেই দিকটি সবসময় উপরের দিকে রাখতে হবে। বলা হয় যে মুদ্রার এই অংশটি ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় অংশে, যেখানে দুটি লিপির ছবি রয়েছে, সেচি নিচের দিকে রাখতে হবে। এটি নেতিবাচক শক্তির একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।
ফেং শুই কয়েন রাখার উপকারিতা
১. চিনা বাস্তুশাস্ত্র বলে যে এই কয়েন ঘরে রাখলে নেতিবাচক শক্তি চলে যায়।
২. মানি ব্যাগে চাইনিজ কয়েন রাখলে মানুষের জীবনে কখনওই টাকার অভাব হয় না।
৩. যে কোনও ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে তিনটি চিনা মুদ্রা আপনার কাছে রাখতে পারেন।
৪. এমনটা মনে করা হয় যে এই মুদ্রাগুলি নেতিবাচক শক্তি দূর করে। আর বাড়ির পরিবেশও ইতিবাচক থাকে।
৫. ঘরের প্রধান দরজায় চিনা মুদ্রা ঝুলিয়ে রাখলে খুব শুভ ও ফলদায়ক হবে।
৬. এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজায় চিনা মুদ্রা রাখলে অশুভ শক্তির বাস হয় না। পাশাপাশি ঘর থেকেও দারিদ্র্য দূর হয়।
৭. যদি অনেক চেষ্টা করেও ঋণ শোধ করতে না পারেন, তাহলে এই তিনটি কয়েন একটি লাল সুতোয় বেঁধে নতুন বছরে ঘরে ঝুলিয়ে দিন। তাতে শীঘ্রই ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন।
৮. বারবার কোনও কাজ নষ্ট হলে ছোট ছোট ফেং শ্যুই কয়েন পার্সে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন - রাত পোহালেই হিন্দু নববর্ষ, নতুন বছরে মেপে পা ফেলুন ৫ রাশি