হিন্দু ধর্মে হোলিকা দহন (Holika Dahan) খুব পরিচিত একটি রীতি। হোলির ঠিক আট দিন আগে কোনও শুভ কাজ করা উচিত না। সেই সময়কালকে হোলিকা দহন বলা হয়। তবে এই রীতি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারত,নেপাল কিংবা পশ্চিম বাংলার বাইরে প্রচলিত। বাঙালিদের অনেকটা একই ধরণের উৎসব পালনের রীতি আছে যাকে ন্যাড়া পোড়ান বলে। এই বছর যেহেতু হোলি ২৯ মার্চ পড়েছে। তাই হোলিকা দহনের সময়কাল ২২ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত।
যেই কাজগুলি হোলিকা দহনের সময়ে করবেন না
* এই সময়ে বিয়ে, ভূমি পূজা, গৃহপ্রবেশ, নতুন ব্যবসার শুরু কিংবা এই ধরনের কোনও শুভ কাজ না করাই ভালো।
* পুঁথি অনুযায়ী এই সময়কালে কোনও যজ্ঞ বা পুজোও না করাই ভালো।
* এমনকি নববধূদের হোলিকা দহনের সময়ে মায়ের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হোলিকা দহনের গুরুত্ব
হোলিকা দহনের সময়কালে ভক্তির ক্ষমতা এই সময়ে তপস্যা করা ভালো। হোলিকা দহন শুরু হলে গাছের একটি ডাল কেটে সেটি মাতিতে পুঁতে দিতে হয়। এরপর সেই ডালে রঙিন কাপড় বেঁধে দেওয়ার রীতি রয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত হোলি আসছে, সেই গাছের ডাল ওখান থেকে সরাতে নেই।
আরও পড়ুন: শুরু হয়ে গেছে কাউন্ট ডাউন, জানুন দোল পূর্ণিমার দিনক্ষণ
প্রহ্লাদকে বাঁচাতে বিষ্ণুর হোলিকা বধকে উদযাপন করা হয় এভাবেই। হোলির আগের দিন কোনও খোলা মাঠ বা স্থানে কাঠ ও জ্বালানি মজুদ করে সাজানো হয়। তার উপর একটি পুত্তলি রাখা হয়, যা হোলিকার প্রতীকী রূপ। এই হোলিকা প্রহ্লাদকে ছলনা করে আগুনে পোড়াতে চেয়েছিলেন। অনেকে এই সময়ে নিজেদের বাড়ি রঙ করেন ও সাজান। সেই সঙ্গে বিভিন্ন খাবার, বিশেষত গুজিয়া, মালপোয়ার মতো মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। মনে করা হয় সমস্ত নেতিবাচক শক্তি এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।