আর্থিক সংকট ও দারিদ্র্য এড়াতে মানুষ মা লক্ষ্মীর পুজো করেন। যাঁদের উপর মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন, তাঁদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন এবং তাঁদের ধন-সম্পদ তৈরি হতে থাকে। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকলে একজন ব্যক্তি পথের ভিক্ষুক থেকে রাজার জীবনযাপন পেতে পারেন। তবে মা লক্ষ্মীকে খুশি করা এত সহজ নয়। এর জন্য অনেক চেষ্টা করতে হবে। বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির মূল দরজায় কিছু ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সেগুলি করলে মা লক্ষ্মী সেই বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন।
সফাই
প্রায়শই মানুষ বাড়ির ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেয়। কিন্তু প্রধান দরজা সাফ রাখতে ভুলে যান। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির প্রধান দরজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির প্রধান দরজা নোংরা থাকলে দেবী লক্ষ্মী কখনও এমন জায়গায় প্রবেশ করবেন না। এই অবস্থায় সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির প্রধান দরজা পরিষ্কার করে দুপাশে জল ঢালতে ভুলবেন না।
স্বস্তিক
হিন্দু ধর্মে স্বস্তিকের প্রতীককে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই ক্ষেত্রে, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির মালিক বা বড় ছেলের উচিত প্রধান দরজার দুই পাশে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করা। এমনটা মনে করা হয় যে স্বস্তিক চিহ্ন ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে এবং বাড়িতে আশীর্বাদ নিয়ে আসে।
রঙ্গোলি
প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার করার পর বাড়ির প্রধান দরজায় রঙ্গোলি তৈরি করতে হবে। যে বাড়িতে রোজ রঙ্গোলি তৈরি হয়, সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মী নিজেই আসেন। প্রতিদিন সকালে পুজোর পর বাড়ির প্রধান দরজায় হলুদ জল ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা বাড়ির প্রধান দরজায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
আরও পড়ুন - ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিও চলবে, এই স্বস্তি কতদিন? পূর্বাভাস