অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাড়িতে অর্থের অভাব থাকে বহু ব্যক্তির। অনেকে ইচ্ছা থাকলেও পরিকল্পনার সেরা ফল পায় না। জ্যোতিষীরা ঘরের আর্থিক সংকট এড়ানোর উপায় জানিয়েছেন। যারা সকালে চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে এই চার কাজ করলে, অভাব- অনটন দূর হয়।
সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠুন
সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে ঝাড়ু দিন। তাহলে কখনও সুখ-সমৃদ্ধির অভাব হবে না। ঘরের প্রধান দরজা সব সময় সূর্যোদয়ের আগে খুলে দেওয়া উচিত। জানালা-দরজা থেকে আসা সূর্যের প্রথম রশ্মি ঘরকে সম্পদে ভরিয়ে দেয়। যারা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে, তাদের ঘরে সর্বদা দারিদ্র্য থাকে।
ঈশ্বরের নাম নিন
সাধারণত সকালে চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে দৈনন্দিন কাজ শুরু করেন মানুষ। যে কোনও কাজ কাজ শুরুর আগে ঈশ্বরের নাম নিতে হবে। রাধে-কৃষ্ণ, সীতা-রাম, শ্রীমাণ নারায়ণ-নারায়ণের মতো শব্দ দিয়ে আপনার দিন শুরু করা উচিত। এরপরে উভয় হাতের তালু যুক্ত করে এই মন্ত্রটি জপ করুন- 'করাগ্রে বসতে লক্ষ্মী,
করমধ্যে সরস্বতী, করমূলে তু গোবিন্দঃ, প্রভাতে কর দর্শনম্॥' এটি করলে আপনার বাড়িতে অর্থের অভাব হবে না।
সূর্যকে জল অর্পণ করুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অবশ্যই সূর্যদেবকে জল অর্পণ করুন। যে বাড়িতে মানুষ নিয়মিত এই কাজ পালন করে, সেখানে দারিদ্র্য থাকে না। শিশুদের হাত দিয়ে সকালে সূর্যদেবকে জল নিবেদন করলে তাদের বুদ্ধিরও বিকাশ ঘটে। সূর্যকে জল নিবেদন করার সময়, সাতবার প্রদক্ষিণ করুন এবং সূর্যমন্ত্র জপ করুন।
ভগবান কৃষ্ণের পুজো করুন
সকালে পুজোর থালায় চন্দন দিয়ে নক্ষত্র তৈরি করুন এবং ঠিক মাঝখানে 'ওম' লিখুন। এরপর এতে তুলসী পাতা নিবেদন করুন। এরপর নমস্কার করে শ্রীকৃষ্ণকে থালায় বসিয়ে নারায়ণ-নারায়ণ জপ করতে করতে স্নান করুন। স্নানের পর ভগবানকে আসনে বসিয়ে তাকে ঠিক মতো পোশাক পরিয়ে দিন। এরপর ভগবানের আরতি ও ভোগ নিবেদন করে, প্রণাম করুন।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)