আমাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের রেখা থাকে। প্রতিটি রেখারই আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। সবার হাতে এক রেখা থাকে না। প্রত্যেকের হাতেই রেখার ফারাক থাকে। কারও হাতে এমন কোনও রেখা থাকলেই কপাল খুলে যেতে পারে। আবার কারও হাতে কোনও বিশেষ রেখা থাকলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। হস্তরেখাবিদ্যায় তাই রেখার ভূমিকা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
আমাদের ভাগ্যে কী রয়েছে এবং আগামী দিনে কোন খাতে বইবে জীবন, তা জানার জন্য অনেক সময়ই আমরা জ্যোতিষীর দ্বারস্থ হই। সেই সঙ্গে হাতও দেখান। হাতের রেখা দেখে কারও ভাগ্য গণনা করা যায়। হাতে বিশেষ কিছু রেখা দিয়ে নানা যোগ তৈরি হয়। হাতের রেখা দেখে যে কারও বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে নানা তথ্য জানা যায়। জেনে নিন...
* হস্তরেখা বিদ্যা অনুযায়ী, যাঁদের হাতে দু'মুখো বিয়ের রেখা রয়েছে, তাঁরা সম্পর্কে বিশ্বাসী হন না।
* যাঁদের হাতে দু'মুখো বিয়ের রেখা থাকে, তাঁরা পরকীয়ায় জড়ান। যার জেরে সংসারে অশান্তি হয়।
* যাঁদের হাতে বিয়ের রেখা থেকে আরও একটি রেখা বেরোয়, তাঁরা সাধারণত একাধিক বার বিয়ে করেন।
* তবে এই জাতকদের দ্বিতীয় বিয়ে সুখের হয় না।
* হস্তরেখাশাস্ত্র মতে, পুরুষদের ডান হাতে যদি বিয়ের রেখা থেকে আরও ২টি রেখা বেরোয়, তা হলে দাম্পত্য সুখ বিঘ্নিত হয়।
*পুরুষদের ডান হাতে যদি বিয়ের রেখা থেকে আরও ২টি রেখা বেরোয়, তা হলে বিয়ে টেকে না।
এছাড়া, হাতে এই রেখাগুলি থাকলে ধন-সুখ লাভ হয়। জেনে নিন...
* কারও হাতে ভাগ্য রেখা সূর্য পর্বতে এসে থেমে গেলে ভাগ্যলক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। এমন জাতকরা সুখী হন সবসময়। কখনও সুখ-সমৃদ্ধির অভাব হয় না।
* কারও হাতে শুক্র পর্বতে পদ্মের চিহ্ন থাকলে সমাজে সম্মান বাড়বে। অর্থলাভ হবে। এই জাতকদের ভাগ্য সবসময় সহায় থাকবে।
* কারও হাতে বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র এবং চন্দ্র পর্বত উঠে থাকলে রাজলক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। এই জাতকরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। পরিবারে সবসময় সুখ-শান্তি বজায় থাকবে।
* হাতে শনি পর্বত এবং বুধ পর্বতের পাশে একটি বলয় রেখার দ্বারা যুক্ত হলে ধনলক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। যাঁদের হাতে এই যোগ থাকে তাঁরা ভাগ্যবান হন। আর্থিক পরিস্থিতি সবসময় ভাল থাকে।