আর ক'দিন বাদেই সরস্বতী পুজো। এ বছর সরস্বতী পুজো পড়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার। মা সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী। বিদ্যা, জ্ঞান, বুদ্ধি দান করেন মা সরস্বতী। তাই ভক্তি ভরে বাগদেবীর আরধনা করেন সকলেই। বিশেষ করে পড়ুয়াদের আরাধ্য দেবী হলেন মা সরস্বতী। স্কুল-কলেজ-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো করা হয়। পাশাপাশি, ঘরে ঘরেও মা সরস্বতীর আরাধনা করা হয়ে থাকে।
সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। মা সরস্বতীর কাছে শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়। প্রতি বছরই পুজোর দিন কোনও না কোনও শিশুর হাতেখড়ি দেওয়া হয়। কিন্তু কেন জানেন?
সরস্বতী যেহেতু বিদ্যার দেবী, তাই শিশুদের পড়াশোনা শুরুর আগে মা সরস্বতীর আশীর্বাদ নেওয়া হয়। বিদ্যার দেবীর কাছে শিক্ষালাভের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। শ্লেটে চকে অ, আ , ক, খ বা এ, বি, সি, ডি লিখে শিশুদের পড়াশোনার সূচনা করা হয়ে থাকে এই প্রথার মাধ্যমে। শিশুর হাত ধরে শ্লেটের উপর চক বা খড়ি দিয়ে পুরোহিত অ, আ বা ক, খ লেখান। মা সরস্বতীর প্রতিমার সামনে এ ভাবেই হাতেখড়ি দেওয়া হয় শিশুর। যাতে ভবিষ্যৎ জীবনে ভাল ভাবে শিক্ষালাভ করতে পারে শিশুটি।
হাতেখড়ি দেওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে, সেগুলি জেনে নিন...
* হাতেখড়ি দেওয়ার কোন সময়টা শুভ, তা জেনে নিন। সেই মতো শুভ সময়ে হাতেখড়ির অনুষ্ঠান করুন।
* পুরোহিত হাতেখড়ি দিলেও পাশে মা এবং বাবার থাকা জরুরি। বিশেষত, মায়ের কাছে হাতেখড়ি নেওয়া খুবই ভাল।
* পুষ্পাঞ্জলির পর হাতেখড়ি প্রথার আয়োজন করুন।
* শিশুর কোষ্ঠী অনুসারে দিনটা শুভ কিনা, তা জেনে নিন। তবেই সেই দিনে হাতেখড়ি দিন।
কখন পুজো করা ভাল?
রবি যোগ ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৪৩ মিনিট থেকে শুরু হবে। শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে মা সরস্বতীর পুজো করলে জ্ঞান লাভ হবে। পাশাপাশি, সুখ, সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে জীবন। সরস্বতী পুজোর সবচেয়ে ভাল সময় হল সকাল ৭টা ১ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে পুজো করাও শুভ। এই সময় পুজো করলে প্রসন্ন হবেন বিদ্যার দেবী।
জ্যোতিষ মতে, সরস্বতী পুজোয় ঠাকুরকে হলুদ বস্ত্র, হলুদ চন্দন এবং হলুদ ফুল অর্পণ করলে তুষ্ট হন দেবী। স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে সরস্বতীর আরাধনা করুন। তা হলে ফল পাওয়া যায়।