লালজল ঝাড়গ্রামের পর্যটন মানচিত্রে এক উল্লেখযোগ্য নাম। বেলপাহাড়ির জঙ্গলঘেরা এক পাথরের পাহাড়। তারই মধ্যে এক গুহা। আদিম মানবগুহা বলেই যা পরিচিত। এখানে আদিম মানুষের ব্যাবহারিক বেশকিছু জিনিসও উদ্ধার হয়। এক সাধু এই গুহায় বসে ধ্যান করতেন। সেই সাধুই প্রথম এখানে দূর্গাপুজার প্রচলন করেন। তিনি লালজলবাসীদের বলে যান কোনো অবস্থাতেই যেন এই পুজো বন্ধ না হয় এখানে। তার পর আর লালজলে পুজো বন্ধ করেনি গ্রামবাসীরা। পাহাড়ের উপর গুহা। তার একধাপ নিচে দূর্গা মন্দির, আর পাহাড়ের কোলে সাধু বাবার জন্য আশ্রম গড়ে তোলা হয়েছিলো। সেখানেই হয় নিত্য পুজা। পুজোর তিনটা দিন ধুমধাম করে চলে। বিশেষ করে নবমীর দিন বাসন্তী পুজা হয়। সেদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ভক্তদের আনাগোনা। পাশ্ববর্তী রাজ্য থেকেও ভক্তরা আসে। যদিও লাল জলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে। করোনার প্রভাব কমতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এখানে। তাই করোনার প্রভাব কাটিয়ে এবারও পুজোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে লালজল।