আশা করা হচ্ছিল, মার্চের হয়তো মিটিয়ে দেওয়া হতে পারে বকেয়া ডিএ। তবে তা হচ্ছে না। অন্তত তেমন ইঙ্গিতই মিলল কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যে। রাজ্যসভায় এনিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সংসদের উচ্চকক্ষে কংগ্রেস সাংসদ নারনভাই রাঠওয়া প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রীয় সরকার কবে বকেয়া ১৮ মাসের ডিএ দিতে পারে। লিখিতভাবে তার উত্তর দিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
কোভিডের সময় ডিএ দেওয়া বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১৮ মাসের ডিএ পাননি সরকারি কর্মী ও পেনশনপ্রাপকরা। সরকার এ ব্যাপারে কী ভাবনাচিন্তা করছে? রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লিখিতভাবে জানান,'বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনপ্রাপকদের ১৮ মাসের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। কোভিডের সময় সরকারের আর্থিক বোঝা কমাতে ডিএ ও ডিআর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।'
তাঁর সংযোজন, 'কোভিডের প্রভাব এখনও শেষ হয়নি। সামাজিক উন্নয়নে সরকারে যে অর্থ খরচ হয়েছিল তা ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সীমাবদ্ধ নেই। তাই বকেয়া ডিএ দেওয়া এখনই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নয়।'
প্রসঙ্গত, কোভিডের কারণে ১৮ মাসের ডিএ দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এতে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুলাই থেকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১১ শতাংশ বেড়েছে ডিএ। বর্তমানে ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ পান সরকারি কর্মচারী ও পেনশনপ্রাপকরা। গতবছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে বকেয়া মিটিয়ে দে্ওয়ার দাবি করেছিলেন পেনশনপ্রাপকরা।
কেন্দ্রীয় কর্মচারী সংগঠনগুলি দাবি করেছেন,ডিএ এবং ডিআর কর্মী ও পেনশনপ্রাপকদের অধিকার। এটা আটকে রাখতে পারে না সরকার। করোনার সময় কর্মচারীরার কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। শোনা যাচ্ছে, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের পথেও হাঁটতে পারে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন- রাজ্যের ডিএ-এর আদালত অবমাননার শুনানি হবে, জানাল হাইকোর্ট