মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্সের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ করল আমাজন। ফিউচার গ্রুপের বিগ বাজার অধিগ্রহণ নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। আচমকাই বিগ বাজারের স্টোরগুলি নিজের হাতে নিতে শুরু করেছে রিলায়েন্স। রিলায়েন্স ও ফিউচার গ্রুপকে 'জালিয়াত' বলে সংবাদপত্রে ফলাও করে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিযোগ করল আমাজন। মার্কিন সংস্থার বক্তব্য, মামলাটি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও বিগ বাজার স্টোরের মালিকানা নিজের নামে করছে রিলায়েন্স।
ফিউচার গ্রুপের বিগ বাজার বিক্রি নিয়ে যুযুধান আমাজন ও রিলায়েন্স। ২০২০ সালে বিগ বাজার কেনার কথা ঘোষণা করেছিল আমাজন। তাদের পাকা ধানে মই দেয় রিলায়েন্স। এনিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আমাজন শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে,'আমাজন, রিলায়েন্স ও ফিউচারের গ্রুপের আলোচনা কোনও দিশা পায়নি। প্রতিবারই আশা জাগিয়ে বিষয়টি থমকে গিয়েছে। আইনি মোকদ্দমা চলা সত্ত্বেও বিগ বাজার স্টোর রিলায়েন্সের হাতে তুলে দিচ্ছে ফিউচার গ্রুপ।' মার্কিন ই-কমার্স সংস্থার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ফিউচার। তাদের বক্তব্য,'আমাদের পথে বসিয়েছে আমাজন। ১৫ দিন আগে থেকে স্টোরের দখল নিচ্ছে রিলায়েন্স। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।' সিঙ্গাপুরের আদালতে শুনানিতে তারা সম্মত বলে জানিয়েছে ফিউচার গ্রুপ ও আমাজন। যাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
এদিকে সংবাদপত্রে ফলাও করে বিজ্ঞাপন ছেপেছে আমাজন। তাতে তারা দাবি করেছে,সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ লঙ্ঘন করছে রিলায়েন্স। জাতীয় কোম্পানি আইন আদালত বিলয়ের অনুমতি না হওয়া পর্যন্ত বিগ বাজার ফিউচার গ্রুপের হাতেই থাকা উচিত।
আরও পড়ুন- Big Bazaar গায়েব! এই নতুন নাম রাখতে চলেছে Reliance
ফিউচার গ্রুপের বিগ বাজার স্টোরের দখল নিতে শুরু করেছে রিলায়েন্স। তাদের হাতে রয়েছে ১৭০০-র বেশি আউটলেট। সেই সব স্টোরের ভাড়া মেটাতে পারছে না ফিউচার। এর মধ্যে বিগ বাজারও রয়েছে। ফিউচার গ্রুপ জানিয়েছে, আর্থিক অনটনের কারণে তারা ভাড়া মেটাতে অক্ষম। সেগুলির লিজ নিজেদের নামে করিয়ে নিচ্ছে রিলায়েন্স। পাশাপাশি ফিউচার রিটেলের ৩০ হাজার কর্মীকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে মুকেশ অম্বানির সংস্থা।
আরও পড়ুন- পুরনো গাড়ি-বাইক আছে? কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এপ্রিলে খরচ বাড়ছে ৮ গুণ
২০২০ সালে অগাস্টে খুচরো, পাইকারি ও স্টোর যেমন বিগ বাজার, কোরিও, ফুড হল এবং ইজি ডে রিলায়েন্সকে বিক্রি করে দেয় ফিউচার। ২৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা দেয় মুকেশ অম্বানির সংস্থা। আমাজনের যুক্তি, ২০১৯ সালের চুক্তি খেলাপ করেছে ফিউচার। ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে তারা। তাতে বলা হয়েছে,ফিউচার গ্রুপ সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না। আর এ সংক্রান্ত বিবাদের ফয়সলা হবে সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশন আদালতে।
আরও পড়ুন- মেট্রোর পর কলকাতায় গঙ্গার নীচে সড়কপথ, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের