scorecardresearch
 

হাত থেকে ফস্কাল Big Bazaar! হতাশ Reliance জানাল, 'আর সম্ভব নয়'

অন্ধকারে বিগ বাজারের 'ফিউচার'। রিলায়েন্সের পাকা ধানে মই দিল ঋণদাতারা। আর সমঝোতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানাল মুকেশ অম্বানির সংস্থা।

Advertisement
বিগ বাজার নেওয়ার স্বপ্নে ধাক্কা? বিগ বাজার নেওয়ার স্বপ্নে ধাক্কা?
হাইলাইটস
  • রিলায়েন্সের হাতে বিগ বাজার দিতে আপত্তি ঋণদাতাদের।
  • হাল ছাড়ল মুকেশ অম্বানির সংস্থা।
  • সমঝোতা আর সম্ভব নয় বলে জানাল।

বিগবাজার অধিগ্রহণ নিয়ে প্রায় দেড় বছরের টানাপোড়েনের পর খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে রিলায়েন্সকে। ফিউচার রিটেলের পাওনাদাররা আপত্তি করায় 'ডিল' আর সম্ভব নয়। আর বাস্তব মেনেও নিল মুকেশ অম্বানির সংস্থা। 

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী,  রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ শনিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছে,'ফিউচার রিটেলের আন-সিকিয়োর্ড ঋণদাতা এবং শেয়ারহোল্ডাররা এই চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিরুদ্ধে ভোটদান করেছে কোম্পানির সিকিয়োর্ড পাওনাদাররা। ফলে এই সমঝোতা আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।'

ফিউচার গোষ্ঠীর ধারের বেশিরভাগ অংশই ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের।  রিলায়েন্সের হাতে খুচরো ব্যবসা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তারাই আপত্তি করেছে বলে খবর। শুক্রবার ফিউচার রিটেল ভোটাভুটির ব্যবস্থা করে। রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তিতে মত দিয়েছে ৩০.৭১ শতাংশ সিকিয়োর্ড ঋণদাতা। আর বিরোধিতা করেছে ৬৯.২৯ শতাংশ। 

তবে সমঝোতার পক্ষে বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডার। পক্ষে মত দিয়েছে ৮৫.৯৪ শতাংশ। ১৪.০৬ শতাংশ বিপক্ষে। আনসিকিয়োর্ড পাওনাদারদের ৭৮.২২ শতাংশই রিলায়েন্সের অধিগ্রহণের পক্ষে। বিপক্ষে মত দিয়েছে ২১.৭৮%।      
   
কোম্পানির অনুৎপাদক সম্পদ বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে প্রথমে শোধ করা করতে হয় সুরক্ষিত বা সিকিয়োর্ড পাওনাদারদের ধার। ফলে তাদের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫১ শতাংশ সুরক্ষিত ঋণদাতার মত দরকার। মোট ঋণের ৭৫ শতাংশে তাদের অংশ থাকা বাঞ্চনীয়। আর ব্যাঙ্কগুলির ঋণই ৮০ শতাংশ। তারাই বেঁকে বসেছে। 

২০২০ সালের অগাস্টে ফিউচারের সঙ্গে ২৪,৭১৩ কোটি টাকার চুক্তি করে রিলায়েন্স। এর ফলে বিগ বাজারের সমস্ত স্টোরগুলি চলে যাবে রিলায়েন্সের দখলে। তখনই আপত্তি করে আমাজন। চুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় ই-কমার্স সংস্থা। তাদের দাবি, ফিউচারের ব্যবসায় লগ্নি করেছিল সংস্থা। সেই শর্ত অনুযায়ী কোনও সম্পদ বেচতে পারবে না তারা। মামলা চলাকালীনই আড়াই মাস আগে বিগ বাজারের স্টোরগুলি হাতে নিতে শুরু করে রিলায়েন্স। সেগুলির লিজ নিজেদের নামে করে নেয়। ফিউচার তখন জানায়, ভাড়া মেটানোর টাকা নেই। সেই সুযোগ নিয়েছে মুকেশ অম্বানির সংস্থা। বিগ বাজার নাম বদলে স্মার্ট বাজার করার পরিকল্পনাও করে রিলায়েন্স। কিন্তু সংস্থার ঋণদাতারা আপত্তি করায় অম্বানির স্বপ্ন ধাক্কা খেল। 

Advertisement

আরও পড়ুন- ইন্দোনেশিয়ার ঘোষণায় ২৮ এপ্রিল থেকে দাম বাড়ছে রিফাইন্ড তেলের?

Advertisement