ভাল লাভ হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে মাশরুম চাষের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আগে শুধু পাহাড়ি এলাকাই এই চাষের জন্য উপযোগী বলে বিবেচিত হলেও, বর্তমানে নতুন কৃষি কৌশলের আবির্ভাবের ফলে সমতল ভূমিতে ব্যাপক হারে মাশরুম চাষ শুরু হয়েছে। বন্ধ এবং অন্ধকার ঘরে মাশরুম চাষ করা হয়। বোতাম মাশরুম, ঝিনুক মাশরুম, দুধিয়া মাশরুম, প্যাডিস্ট্রা মাশরুম ও শিটাকে মাশরুমের চাষ হচ্ছে বর্তমানে।
এভাবে চাষ করা হয় নীল ঝিনুক মাশরুম (Blue oyster mushroom)
নীল ঝিনুক মাশরুমের চাষও অন্যান্য মাশরুমের মতোই। এর চাষের জন্য পলিথিন ব্যাগে খড় ভরে বপন করা হয় এবং ব্যাগের মুখ বেঁধে ১০ থেকে ১৫টি গর্ত করা হয়। তারপর সেটিকে একটি অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখা হয়।
ব্যাপক লাভের সম্ভাবনা
প্লাস্টিকের ব্যাগে ১৫ থেকে ১৭ দিন পরে মাশরুম সম্পূর্ণরূপে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২৩ থেকে ২৪ দিন পর মাশরুম তুলে নেওয়া যেতে পারে যায়। এই মাশরুম বাজারে বিক্রি হয় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। এর চাষ করে খুব সহজেই বড়সড় লাভের মুখ দেখতে পারেন কৃষকরা।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী (Blue Oyster Mushroom Benefits)
মনে রাখবেন মাশরুম এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আর নীল ঝিনুক মাশরুম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়তে বিশেষভাবে সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে। এই মাশরুম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং ফাইবারের একটি দারুণ উৎস, যা স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এই কারণে চিকিৎসকরাও মাশরুম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই এবার থেকে আপনিও ডায়েটে সামিল করতে পারেন মাশরুম।
কীভাবে খাবেন?
মাশরুম অনেকভাবে খাওয়া যায়। তারমধ্যে মাশরুমের তরকারি খুবই সুস্বাদু ও মুখরোচক। অনেকেই মাশরুমের তরকারি দিয়ে ভাত কিংবা রুটি খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। এছাড়াও আরও অনেক উপায়ে খাওয়া যায় মাশরুম। দোকানে বা বাজারে খুব সহজে মাশরুম পাওয়াও যায়।
আরও পড়ুন - ফেব্রুয়ারিতেই ৫ রাশির জীবনে আসতে পারে প্রেম, রয়েছে বিয়ের সম্ভাবনাও