ডিএ (Dearness Allowance)-এর আদালত অবমাননা মামলায় ৪ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে। এরই মধ্যে সামনে এল বড় আপডেট। সোমবার নবান্নে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। সূত্রের খবর, ডিএ নিয়ে আলোচনা করতেই এদিন নবান্নে এসেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, রাজ্যের অর্থসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত মিত্র। সেখানে ডিএ -সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। মাননীয় অমিত মিত্রকে আজতক বাংলার তরফে এই নিয়ে ফোন করাও হয়েছিল, তবে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
এখন প্রশ্ন Da নিয়ে রাজ্য সরকার কি সিদ্ধান্ত নিতে পারে? গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, অমিত মিত্র নবান্নে গিয়েছিলেন শুনেছি। ডিএ নিয়ে কোনও আলোচনা করেছেন কি না আমাদের জানা নেই। তবে আমরা আশাবাদী। আমদের মনে হয়, অমিত মিত্র সদর্থক আলোচনা করে এসেছেন। আগামী ৪ তারিখ তার প্রতিফলন সরকারি কর্মীরা দেখতে পাবেন বলে আশা করছি। কারণ, রাজ্য সরকারকে একাধিকবার এই মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এখন তো আদালত অবমাননার মামলাও রয়েছে। তাই সরকার চাইবে না তাদের মুখ পুড়ুক। আবার রাজ্যের কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে। তাই ৪ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যেই সরকার ডিএ ঘোষণা করতে পারে বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি। অমিত মিত্র হয়তো সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই এসেছিলেন।
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর, ডিআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি সরকারের
আবার সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, '২০১১ সালে এই সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সবথেকে বেশি সময়ের জন্য অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। এত ডিএ বাকি থাকার পিছনে তাঁর দায় রয়েছে। কারণ, একবার বাজেট পেশের সময় তিনি বলেছিলেন, ডিএ না দিলেও ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের সাশ্রয় করেছেন। সুতরাং তখন থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, অমিত মিত্র ডিএ দেওয়ার পক্ষে নন। সেই অমিত মিত্র যখন নবান্নে গিয়েছে তখন তিনি সরকারি কর্মীদের জন্য কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে হয় না।'
দেবাশিস শীল আরও বলেন, 'রাজ্যের অর্থ ও মুখ্যসচিবকে হলফনামা দিতেই হবে ৪ নভেম্বরের মধ্যে। তারা যদি না যায় সেখানে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। তবে যেখানেই যাক না কেন সরকারের লাভ হবে না। তাদের পিঠ ঠেকে গেছে। তারা সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে। সেই অধিকার সরকারের আছে। কিন্তু, সরকারি কর্মচারি পরিষদও তৈরি। আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছি। ডিএ মিলবেই কর্মীদের। এটা তাদের অধিকার। মহামান্য আদালতও বলেছে এই কথা। সুতরাং, ডিএ পাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।'
আরও পড়ুন : বিয়ের ঠিক হতেই প্রেমিককে বিষ খাইয়ে খুন করল যুবতী
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। সময়সীমা দিয়েছিল ৩ মাস। কিন্তু রায় পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করে রাজ্য। তবে রায় বহাল রাখে মহামান্য হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অর্থাৎ ডিএ দিতেই হবে রাজ্যকে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে।
এরপর আদালত অবমাননার মামলা হয়। সেই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের কাছে হলফনামা তলব করে হাইকোর্ট। সেই হলফনামা ৪ নভেম্বরের মধ্যে দিতে হবে। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন, এই ৪ তারিখ Da দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে পারে।