জনসেবাতেও নাম চুরি!
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয় প্রাক্তনীদের নামে কে বা কারা জনসেবা করে বেড়াচ্ছে, তার সঙ্গে প্রকৃতি অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশেনর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন প্রাক্তন রেজিস্ট্রার তথা প্রকৃত অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডঃ তাপস চট্টোপাধ্যায়।
সাধারণ সম্পাদকের দাবি
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতি একটি রেজিস্টার্ড সংস্থা, স্থাপিত অক্টোবর, ২০০১ সালে। এই সমিতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত এবং প্রশাসনিক ভবনে এর মূল কার্যালয় ২০১০ সাল থেকে স্থাপিত। বিগত ২০ বছর ধরে এই সংস্থা শিক্ষা,সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে অবিচল হয়ে উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো, পঠনপাঠনের মান, গবেষণা ও সামাজিক চাহিদা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলে ।
সামাজিক কাজেও রয়েছে নথিভুক্ত প্রাক্তনীরা
দ্বিতীয়ত জনসেবামূলক, উন্নয়নমূলক ও সমাজসেবামূলক বহুবিধ কাজ অব্যাহত ভাবে করে চলেছে প্রাক্তনীরা। করোনা অতিমারিতেও এই সংগঠন এক বছর থেকেই দরিদ্র, দুস্থ ও আর্ত মানুষের জন্য উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় এবং প্রান্তিক অঞ্চলে ত্রাণ শিবিরের কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করে চলেছে। এ ছাড়াও শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে নিয়মিত আলোচনাচক্র এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল ওয়েব ইনার তাঁদের অন্যতম কর্মসূচির অঙ্গ।
সংগঠনের বাইরে চাঁদা তোলা হয় না
এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগঠনের সদস্যরা স্বতস্ফূর্তভাবে দান করে চলেছেন। সদস্যদের বাইরে কারও কাছ থেকে কোনও অনুদান তাঁদের সংগঠন গ্রহন করে না। ত্রাণ বা অন্য কোনও কাজে তাঁরা যে অর্থ সংগ্রহ করে তা সব সময় তাঁদের সমিতির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে করা হয়। কোনও ডিজিটাল ওয়ালেট বা কারও ব্যাক্তিগত নামে কোনও অর্থ সংগ্রহ করা হয় না।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি প্রাক্তনী সংগঠনের
সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার তাপস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সংস্থার পরিচয়ে দুটি সংগঠনের সংবাদ আমরা জানতে পেরেছি। এই দুটির একটি হল "NBU ALUMNI" এবং অপরটি "ALUMNI NBU"। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের বর্তমান, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট জনসমাজের কাছে আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, এই দুই সংস্থার সাথে "উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতি""র ( NBU Alumni Association) কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা এই দুই সংস্থার কর্মসূচি বিষয়ে অবগত নই। সম্প্রতি গণমাধ্যমে জানা গেছে যে এর মধ্যে একটি সংগঠন কোভিড অতিমারীর ত্রাণ কর্মসূচির জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। এই কারণে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করার প্রয়োজন দেখা দিল। তাঁদের কর্মকাণ্ডকে অনেকে মূল সংগঠনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন, তাই এই বিবৃতি।