scorecardresearch
 

INDIA Meeting 1 June: শেষ দফার ভোটের দিনই কেন INDIA জোটের বৈঠক ডাকলেন খাড়গে? ৫ কারণ

লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট বাকি। তার ঠিক আগেই বিরোধী INDIA ব্লকের নেতাদের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আগামী ১ জুন সেই হাই ভোল্টেজ বৈঠক। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন। এই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
১ জুনই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক কেন? ১ জুনই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক কেন?
হাইলাইটস
  • লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট বাকি।
  • তার ঠিক আগেই বিরোধী INDIA ব্লকের নেতাদের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
  • এই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট বাকি। তার ঠিক আগেই বিরোধী INDIA ব্লকের নেতাদের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আগামী ১ জুন সেই হাই ভোল্টেজ বৈঠক। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন। এই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও এই বৈঠকে যাবেন না। তিনি এর আগে বারবার বলেছেন যে, দিল্লিতে ইন্ডি জোটে তিনি আছেন। ইন্ডিয়া নামটাও তাঁর দেওয়া বলে জানান। কিন্তু আগামী ১ জুনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি যাচ্ছেন না। কারণ হিসাবে জানান, সেই একই দিনে ভোট পড়েছে। তার পাশাপাশি রিমাল ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণকার্য চলছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি রাজ্য ছেড়ে বৈঠকে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

অনেকেই একটি প্রশ্ন করছেন, শেষ দফায়, যখন দেশের ৫৭টি লোকসভা আসনে ভোট হবে, সেই দিনই কেন ইন্ডিয়া ব্লকের নেতাদের বৈঠক ডাকা হল?

কেজরিওয়াল ফ্যাক্টর

আরও পড়ুন

মল্লিকার্জুন খাড়গের ইন্ডিয়ার বৈঠকের জন্য ১ জুন তারিখ বেছে নেওয়ার পিছনে কেজরিওয়াল ফ্যাক্টরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে, এই নির্বাচনে আম আদমি পার্টি এবং ইন্ডিয়া ব্লকে তার প্রভাবটা তাৎপর্যপূর্ণ। দিল্লি, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, গোয়া এবং গুজরাটের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে AAP এবং ইন্ডিয়া ব্লক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। এদিকে পঞ্জাবে তাদের মধ্যে বনিবনা নেই। পাঁচটি রাজ্যে তারা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদিকে পঞ্জাবে তারাই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অরবিন্দ কেজরিওয়াল মদ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পরে নির্বাচনী প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত আছেন। তবে তার মেয়াদ আগামী ১ জুনই শেষ হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে ১ জুন ইন্ডিয়া ব্লকের মিটিং ডাকার পিছনে কেজরিওয়াল ফ্যাক্টরও কারণ হতে পারে। 

বিক্ষিপ্ত জোটকে একত্রিত করা

একেবারে শুরুর দিকে, যখন বৈঠক হচ্ছিল, তখনও ইন্ডিয়া ব্লকের নামকরণও করা হয়নি। সেই সময় থেকেই একটি বিষয় স্পষ্ট ছিল। এই জোটে এমন বহু দল রয়েছে যারা পরস্পরের কট্টর বিরোধী। ফলে তাদের এক ছাদের তলায় এনে একসঙ্গে নির্বাচন লড়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটের আগে বারবার সেই বিষয়টাই ফুটে উঠেছে। 

কেরলে বাম দলগুলি অন্য় সমীকরণে ভোটে লড়ছে। পশ্চিমবঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস 'একলা চলো' ডাক দিয়েছে। পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি এবং জম্মু-কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতির দল পিডিপিও একাই নির্বাচনে লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে। বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে বাংলায় নির্বাচনে লড়ছে। আম আদমি পার্টি পাঁচটি রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলেও পঞ্জাবে একা লড়ছে। ইন্ডিয়া ব্লকের ব্যানারে TMC উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ১ জুন সভা ডাকার পিছনে অন্য়তম কারণ হল নির্বাচনী প্রচারের সময়কার এই পরস্পর বিরোধী মনোভাব দূর করা এবং ফলাফলের আগেই বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দলগুলিকে একত্রিত করা।

Advertisement

কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ঠিক করা

কংগ্রেস মানেই ধীরে সুস্থে, বহু মাস ধরে কোনও প্ল্যান করা হবে। তারপর সেটা বাস্তবায়ন করতে করতে আরও কয়েক মাস। এমনই একটা ভাবমূর্তির কথা বলেন বিরোধীরা। সেই ইমেজটাই এবার ভেঙে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। এর আগে JDU-র নীতীশ কুমারও মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান সহ রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের সময় কোনও সভা না ডাকার জন্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও ধীর গতিতে কাজ করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়নের শেষ দিন এগিয়ে আসছিল। এদিকে মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইন্ডিয়া ব্লকগুলি পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে ছিল। বৈঠকের পর বৈঠকই হয়ে চলেছিল। নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের এই সভা ডাকাটা তাই সেই ভাবমূর্তি ভাঙারই প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রকৃত বন্ধুদের চিহ্নিত করা

৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যদি সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে আগে থেকেই তার জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছে কংগ্রেস। তাই শেষ পর্যায়ে এসে সেই বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যেতে পারে এদিনের বৈঠকে।

INDIA গাড়ির ড্রাইভার কংগ্রেসই...

বিহারের রাজধানী পটনায় বিরোধী দলগুলির প্রধান নেতাদের বৈঠক হয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও  তারপরে তেজস্বী যাদব পটনা থেকে কলকাতা, লখনউ, দিল্লি এবং চেন্নাই থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত সকল বিরোধী দলগুলিকে এক ছাদের নিচে আনার বিষয়টি দেখছিলেন।

প্রথম বৈঠকে নীতীশ কুমারকেই এই জোটের চালিকা শক্তি হিসেবে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় বৈঠকের পর থেকেই ছবিটা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। দ্বিতীয় বৈঠক থেকেই ড্রাইভিং সিটে চলে আসে কংগ্রেস। নির্বাচন শেষের আগেই তাই সবাইকে মিটিংয়ে ডেকে খাড়গে সম্ভবত এই বার্তাই দিলেন যে, কংগ্রেসই জোটের চালিকাশক্তি ছিল, আগামিদিনেও থাকবে।

Advertisement