তমলুকে ভোটবাক্সে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যের। মঙ্গলবার দুপুরে গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে ১৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপির অভিজিৎ। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। গম্ভীর গলায় বললেন, 'যতক্ষণ না গণনা শেষ হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কিছু মন্তব্য করব না।'
গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে বাংলায় তৃণমূল ৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে ১০টি আসনে। এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেন, 'অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুক্ষণ। রাউন্ডগুলো শেষ হোক।'
শুরু থেকে তমলুক ছিল কংগ্রেসের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায একসময় কংগ্রেসের দাপট ছিল। পরে তমলুকে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বামেদের হাতে। ২০০৯ সালে বাম জমানায় বড়সড় পরিবর্তন ঘটে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তমলুকের। সে বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার ওই কেন্দ্রে ফোটে জোড়াফুল। সাংসদ হন শুভেন্দু অধিকারী। শুরু হয় অধিকারী পরিবারের জমানা। তবে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তমলুকের আকাশে বাতাসে আরও এক বদলের হাওয়া বইছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম 'প্রেস্টিজ ফাইট' হতে চলেছে তমলুকে। এবার এই কেন্দ্র দখলে মরিয়া পদ্মশিবির। অন্য দিকে, অধিকারী পরিবারকে ছাড়া প্রথমবার সেখানে লোকসভার লড়াইয়ে শামিল ঘাসফুল শিবির। শুভেন্দুদের রুখে সেখানে জোড়াফুল ফোটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বাংলার শাসকদল। আবার, এই দুই প্রধান দলের লড়াইয়ের মাঝে জিৎ ছিনিয়ে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে বামেরাও। সবমিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী হতে চলেছে তমলুক।
ভোটে জয় নিয়ে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী দেবাংশু। সোমবার bangla.aajtak.in-এ দেবাংশু বলেছিলেন, 'তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে আমিই জিতব। যদি ১ টা ভোটে হয় তাহলেও জিতব। এটা তমলুকের মানুষ ঠিক করে নিয়েছে। বিজেপি যদি রাজ্যে ৪২ টার মধ্যে ৪০ আসনও পায়, তাহলেও তমলুক আসন তৃণমূল জিতবে। কারণ, আমি এখানে আছি। মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ভোট করিয়েছি। এখানকার ভোটাররা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ভালোবাসেন। তাঁরা আমাকেই ভোট দিয়েছেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হারছেন নিশ্চিত।'