বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গ্রেফতারির দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অভিষেক বললেন, 'ইডির উচিত, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিকে গ্রেফতার করা।' কেন নাড্ডার গ্রেফতারির দাবি করছেন, সেই কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?
বৃহস্পতিবার বর্ধমানে দলের সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, 'ইডির উচিত, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিকে গ্রেফতার করা।কারণ, যে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি বলছে, তার ৫৫ কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিতে গিয়েছে...আবগারি দুর্নীতির কথা বলছেন ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে...কেজরিওয়াল জেলে থাকলে জেপি নাড্ডা জেলে থাকবেন না কেন?'
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে আম আদমি পার্টি বা আপ। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে ৫৯ কোটি টাকা দিয়েছেন এই মামলার রাজসাক্ষী সরথ রেড্ডি, এমনটাই দাবি করেছেন আপ সরকারের মন্ত্রী অতিশী। এই মামলায় বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভযুক্ত সরথ রেড্ডিকে সাক্ষী করা হয়েছে। সরথের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই গ্রেফতার করা হয়েছে কেজরিওয়ালকে। সেই সাক্ষীর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আপ। কেজরিওয়ালের দলের তরফে অতীশি জানিয়েছিলেন, একটি ফার্মা সংস্থা চালান রেড্ডি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রেড্ডিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। তাঁর দাবি, সেই সময় রেড্ডি জানিয়েছিলেন, তিনি কেজরির সঙ্গে দেখা করেননি। পরের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েক মাস পর বয়ান বদলান তিনি। আর তারপরেই জামিন পান। এরপরেই অতীশি দাবি করেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে প্রথমে ৪.৫ কোটি টাকা দিয়েছিল রেড্ডির সংস্থা। গ্রেফতারির পর বিজেপিকে আরও ৫৫ কোটি টাকা রেড্ডির সংস্থা দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মোট টাকার অঙ্ক ৫৯.৪ কোটি টাকা। এই তথ্য তুলে ধরে নড্ডার গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন অতীশি।
এবার সেই একই সুর শোনা গেল অভিষেকের গলায়। আপের মতো তিনিও নাড্ডার গ্রেফতারির দাবি জানালেন। যা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।